বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আমি পথে বাহির হইয়া বলিলাম—চলো—

 লোকটা পশ্চিমদিকে যাইতেছে দেখিয়া বলিলাম—ওদিকে কোথায় যাচ্চো? ইষ্টিশানের কাছে যে জমি—কৃপালনী কলোনি—

 —ইষ্টিশানের কাছে কোনো জমি নেই বাবু।

 —আলবৎ আছে। তুমি কোনো খবর রাখো না।

 —না বাবু, কোনো জমি নেই ওদিকে।

 —শোনো। ইষ্টিশানের গায়ে। কাগজে যে জমির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চাশ টাকা খরচ করে নাম রেজেষ্ট্রি করতে বলা হয়েছিল যে জমির জন্যে। আমি নাম রেজেষ্ট্রি করে রেখেছি—রসিদ আছে পকেটে—

 —এ-কথাটা আপনি ওখানে বল্লেন না কেন বাবু। আমি তো আর কোনো জমির সন্ধান জানি না। কালও তো এক বাবু এসেছিলেন, তিনিও নাম রিজিষ্টারি করে নিয়ে গেলেন।

 —জমি দেখেননি?

 —না। ডাক্তারবাবু বল্লেন, জমি দেখে যাবেন সামনের রবিবারে।

 —বেশ, আমায় নিয়ে চলো—

 —বাবু—

 — কি বলে আবার?

 —আপনি জমি দেখতে চান?

 —কি বলে আবোল-তাবোল? জমি দেখবো না তো কি?

 —আপনি এখানে দাঁড়ান। আমি জিগ্যেস্ করে আসি।

 আমি বিরক্ত হয়ে নিজেই আবার ডাক্তারবাবুর কাছে গেলাম। বলিলাম—আপনার চাকর জানে না আমাকে কোথায় নিয়ে যেতে হবে।

 এবার ডাক্তারবাবু দেখিলাম, আর একজন ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা কহিতেছেন। তিনিও জমির জন্যই আসিয়াছেন মনে হইল। কারণ