পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

(১১)

তেছি না এবং করিবার ক্ষমতা নাই, ইচ্ছায় করি আর অনিচ্ছায় করি, নীল করিছি, এবারেও করিতে প্রস্তুত আছি। তবে সকল বিষয়ে সম্ভব অসম্ভব আছে, আদ আঙ্গুল চুঙ্গিতে আট আঙ্গুল বারূদ পুরিলে কাযেই ফাটে। আমি অতি ক্ষুদ্র প্রজা দেড় খানি লাঙ্গল রাখি, আবাদ হদ্দ ২০ বিঘা, তার মধ্যে যদি ৯ বিঘা নীলে গ্রাস করে তবে কাযেই চট্‌তে হয়। তা আমার চটায় আমিই মর্‌বো হুজুরের কি!

 গোপী। সাহেবের ভয়, পাছে তুমি সাহেবকে তোমাদের বড়বাবুর গুদামে কয়েদ ধর‍্যে রাখ।

 সাধু। দেওয়ানজি মহাশয়, মড়ার উপর আর খাঁড়ার ঘা কেন দেন। আমি কোন্‌ কীটস্য কীট যে সাহেবকে কয়েদ করবো, প্রবল প্রতাপশালী—

 পোপী। সাধু, তোর সাধুভাষা রাখ্‌, চাসার মুখে ভাল শুনায় না, গায় যেন ঝাঁটার বাড়ি মারে—

 উড। বাঞ্চৎ বড় পণ্ডিত হইয়াছে।

 আমিন। বেটা রাইয়তদিগের আইন পরোয়ানা সব বুঝাইয়া দিয়া গোল করিতেছে, বেটার ভাই মরে লাঙ্গলঠেলে উনি বলেন “প্রতাপশালী”—

 গোপী। ঘুঁটেকুড়ানীর ছেলে সদরনায়েব।—ধর্ম্মাবতার! পল্লীগ্রামে স্কুল স্থাপন হওয়াতে চাসালোকের দৌরাত্ম্য বাড়িয়াছে।

 উড। গবরণমেণ্টে এ বিষয়ে দরখাস্ত করিতে আমাদিগের সভায় লিখিতে হইবেক, স্কুল রহিত করিতে লড়াই করিব।

 আমিন। বেটা মোকদ্দমা করিতে চায়।

 উড। (সাধুচরণের প্রতি) তুমি শালা বড় বজ্জাত