পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

নারায়ণের সেবা, রূগ্নের শুশ্রুষা করিতে ভালবাসিতেন। এই সময়ে তাহার জীবনে একটি উচ্চ ও মহৎ আদর্শের বীজ উপ্ত হয়। এই অল্প বয়সে যে আধ্যাত্মিক প্রভাব তাঁহার জীবনে দেখা যায়, সেই প্রভাব তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনকে বহু পরিমাণে গঠিত করে।

 কলেজ জীবন—১৯১৩ খৃষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্র প্রেসিডেন্সী কলেজে আই-এ ক্লাসে ভর্ত্তি হন এবং সংস্কৃত, গণিত ও লজিক এই কয়টি বিষয় পাঠ্যরূপে গ্রহণ করেন। তখনকার দিনে প্রত্যেক স্কুলে ও কলেজে ভাল ছাত্রদের একটি দল থাকিত। চিরকুমার থাকিয়া আজীবন দেশসেবা করাই ইহাদের মূলমন্ত্র ছিল। পাঠ ছাড়া ব্যায়ামচর্চ্চ, ধ্যান-ধারণা ইহাদের নিত্যকর্ম্ম ছিল। দলপতি সভ্যদের চরিত্র গঠনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখিতেন। আজকাল ছাত্রদের মধ্যে এইরূপ আন্দোলন খুবই কমিয়া আসিতেছে। উচ্চ রাজনীতি চর্চা ভাল কিন্তু ছাত্রজীবনের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্র-গঠন না হইলে ভবিষ্যৎ জীবনে কোন মহৎ কাজ করা যায় না। কলিকাতায় সুভাষচন্দ্র এইরূপ একটি ভাল দলে যোগদান করেন। ডাঃ সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ এই দলে ছিলেন। ইহারা সকলেই প্রসিদ্ধ দেশসেবক ও চিরকুমার। প্রফুল্ল চন্দ্র টাকশালে ১৭০০ টাকা মাহিনার চাকরি ত্যাগ করিয়া অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভ্য।

 এই সময় সুভাষচন্দ্রের জীবনে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে। পূর্ব হইতে সংসারের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং সন্ন্যাস জীবনের প্রতি আগ্রহ