পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৫৫

মানচিত্র এবং ‘ইত্তিকাক, ইতমদ, কোরবাণী’ (সহযোগিতা, ন্যায়বিচার ও আত্মত্যাগ) এই তিনটি শব্দ থোদিত থাকিত। মরণ যজ্ঞে চরম আত্মাহুতির জন্য সৈন্যগণের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা দেয়, হয় তাঁহারা দিল্লী পৌঁছিবে না হয় শেষ শয্যা গ্রহণের পূর্ব্বে দিল্লীর পথ চুম্বন করিবে। ১৯৪৪ সালের মার্চের মাঝামাঝি নেতাজীর চিত্র মস্তকে ধারণ করিয়া সমর সঙ্গীত গাহিতে গাহিতে সৈন্যগণ বীরদর্পে ভারতভূমিতে প্রবেশ করে। ব্রিটিশের সৈন্য সংখ্যা অনেক বেশী ও খুব সুসজ্জিত থাকা সত্বেও আজাদি সৈন্যের নিকট প্রত্যেক যুদ্ধেই হারিতে লাগিল। মোরাই কোহিমা প্রভৃতি অনেক জনপদ দখল করিয়া আজাদি সৈন্য ইম্ফল অবরোধ করে। এই যুদ্ধে কোন বিমান সাহায্য ছিল না। ১৯৪৪ সালের আগষ্ট মাসে পাহাড়ী বর্ষার জন্য রসদ সরবরাহের অসুবিধা, সৈন্যদের মধ্যে ম্যালেরিয়া ও আমাশয় রোগের প্রকোপ ও ব্রিটিশ সৈন্যের নির্ব্বিচারে বোমা বর্ষণের জন্য যুদ্ধের অবস্থা সঙ্গীন হয়। প্রথমে ২৮জন আত্মসমর্পণ করে। কালাদান উপত্যকায় মেজর রাঠোরী বীর বিক্রমে মাত্র তিন কোম্পানী লইয়া বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করে। ব্রিটিশের হস্তে মিত্তিলার পতন হইল। ১৯৪৫ সালে ২৩শে এপ্রেল জাপানী সৈন্য রেঙ্গুন ত্যাগ করে এবং ২৪শে এপ্রেল স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্ট রেঙ্গুন ত্যাগ করে। ভারতীয়দের রক্ষা করিবার জন্য জেনারেল লোকনাথম ছয় হাজার সৈন্য লইয়া রেঙ্গুনে থাকেন এবং জে,এন, ভাদুরী বর্মায় সঙ্ঘের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৪২