পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

সালে যখন ব্রিটিশরা বর্মা ত্যাগ করে তখন তথায় ভীষণ রাহাজানি, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা ঘটে কিন্তু ১৯৪৫ সালে যখন আজাদি সৈন্য ও জাপানী সৈন্য বর্মা ত্যাগ করে তখন তথায় একটিও রাহাজানি হয় নাই।

 ১০মে ব্রিটীশ কর্ত্ত‌ৃপক্ষ National Bank অধিকার করে। ২৮শে মে ভাদুড়ীর গ্রেপ্তারের পর সঙ্ঘের কার্যকলাপ বন্ধ হয়। সঙ্ঘের কর্ম্মিগণ, আজাদ সৈন্য দলে দলে গ্রেপ্তার হয়। কতক সৈন্য ভারতের বিভিন্ন জেলে আটক আছেন, কতক কতক সৈন্য বর্মা ও মালয়ে আটক আছেন। ১০ জনের ফাঁসি হইয়া গিয়াছে। সর্দ্দার সিং ‘জয় হিন্দ, ইনক্লাব জিন্দাবাদ’ বলিতে বলিতে ফাঁসি কাষ্ঠে আরোহণ করেন। ২০ বৎসর বয়স্ক যুবক রাম তেওয়ারীর ফাঁসি হইয়াছে। মহামান্য বড়লাট দয়া প্রদর্শন করিয়া কয়েক জনের ফাঁসি মকুব করিয়াছেন। অনেক সৈন্যকে মুক্তিও দেওয়া হইয়াছে। কয়েক জনের বিচার চলিতেছে।

 বীরত্বের কাহিনী—আজাদি সৈন্যগণের অভূতপূর্ব্ব বীরত্ব ও সাহস, চরম সহনশীলতা, আদর্শ শৃঙ্খলতা, অপূর্ব সংগঠন শক্তি, উদ্দেশ্যের প্রতি একনিষ্ঠতা, দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করিবার উত্যুগ্র আকাঙ্খার কাহিনী জগতের বীরগণের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকিবে। বীরত্বের দু’একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নিম্নে দেওয়া হল।

 (১) ইম্ফল রণাঙ্গনে ব্রিটিশ সৈন্যের সংখ্যা খুব বেশী ছিল, তাহার কামান, বিমান, ও অন্যান্য সাজসরঞ্জামে সজ্জিত ছিল।