পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শারীরিক ক্লেশ দেওয়া ছাড়াও ভারত সরকার তাঁকে জানিয়েছেন যে তাঁর প্রায় লাখ টাকার সম্পত্তি আফগান সরকার মাত্র ১২০০০ টাকায় নীলাম করে নিয়েছেন। তাছাড়া তাঁর বহু পণ্য বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। এমন কি তাঁর ব্যবসার খাতাপত্রও তাঁকে দেওয়া হয়নি। সেই সব খাতাপত্রে বহু পাওনার হিসাব আছে। নীলামের টাকাও এখন তাঁর হাতে পৌঁছায় নি। সমস্ত সুখসম্পদের বিনিময়ে এই নির্ভীক দেশপ্রেমিক তাঁর কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করতে এতটুকুও দ্বিধা করেন নি। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।

পরিশিষ্ট

(খ)

 সম্প্রতি ‘জয়-হিন্দ’ নামে একখানি রোজনামচা প্রকাশিত হয়েছে। এটি কার লেখা আমাদের জানা নেই তবে লেখিকা শ্রীমতি ‘ম’ নামে নিজের পরিচয় দিয়েছেন এবং এই রোজনামচাখানি ‘জনৈক বিদ্রোহিনী ভারত কন্যার রোজনামচা’ বলে প্রসিদ্ধিলাভ করেছে। তার থেকে কিছু কিছু অংশ তুলে দেওয়া হল:—

জুলাই ২, ১৯৪৩

 সুভাষবাবু আজ এলেন। স্ত্রী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ছুটলো। ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সে এক শ্বাসরোধী দৃশ্য—মানুষের সমুদ্র— ভারতীয় মালয়বাসী চীনা ও জাপানী— সকলেই এই বিরাট বিপ্লবীকে একবার দর্শন করবার জন্যে হুড়োহুড়ি করতে করতে পিষে গেল।

 উন্নত, দৃঢ় ভঙ্গী, গৌরবে সমুন্নত ও অনমনীয় শির এবং তাঁর প্রাণভোলানো হাসি নিয়ে সুভাষ বাবু সকলের অন্তর জয় করে নিলেন। আমাদের বিশ্বাস হল যে সেই নেতা এলেন যাঁর ওপর আমরা নির্ভর করতে পারি এবং যিনি আমাদের গন্তব্যস্থলে নিয়ে যাবেন। ছবিতে তাঁর সুন্দর দেহগঠন ও পুরুষোচিত

১৫১