পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে সুভাষবাবু গ্রেপ্তার হলেন। বৃটিশ আর যাই হোক সাধারণ ভদ্রতা জ্ঞান তার আছে, সে কথা রাখতে জানে।

 বহুদিনের অনশনক্লিষ্ট আর্তের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে গেল নির্লজ্জ বঞ্চক।

 যাবার আগে, বহু দুর্যোগের পরে প্রথম সূর্যালোকের মত তাঁর বাণী ধ্বনিত হয়ে উঠলো—Keep the flag of freedom flying!—স্বাধীনতার ধ্বজা চির-উড্ডীন করে রাখো।

 সে রক্তের ডাকে রক্তিম হয়ে উঠলো ভারতের হৃদয়-আকাশ!

 সারা ভারতবর্ষ জুড়ে বৃটিশের বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের তুফান তুললো। সেই ঝড়ের ছোঁওয়া গিয়ে পৌঁছলো হাউস অব কমন্‌সে পর্যন্ত! ভারত-সচিব বললেন সুভাষচন্দ্র হিংস-আন্দোলনের সহিত যুক্ত আছেন।

 কিন্তু, কোন-অজুহাত টিকলো না। শেষ পর্যন্ত সরকার পক্ষ ১৯৩৭ সালে সুভাষচন্দ্রকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলেন।

 কারামুক্তির পর কিছুদিন কোলকাতায় থাকবার পর স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য তিনি কিছুদিন ডালহৌসীতে গিয়ে রইলেন। এরপর কিছুদিনের জন্যে তিনি আবার ইউরোপ যাত্রা করলেন। লণ্ডনে তাঁকে বিরাট এক সম্বর্ধনা সভায় অভিনন্দিত করা হল। তিনি ইউরোপের চারদিকে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াতে লাগলেন। বক্তৃতার উদ্দেশ্য ১৯৩৭ সালের শাসন সংস্কারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ চালানো।

৪৬