পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 শীতে তাঁহাদের হাত-পা জমিয়া যাইবার মত হইল— তাঁহারা মাঝে-মাঝে চা পান করিয়া দেহের রক্ত উষ্ণ রাখিবার প্রয়াস পাইতেছিলেন।

 দ্বিতীয় দিন তাঁহারা যে স্থানে উপস্থিত হইলেন, তাহার নাম ‘বাট্‌খাক। এখানে যাত্রীদের পাসপোর্ট ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়, তাহাদিগকে নানারকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।

 সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁকে অনুরূপ ভাবে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হইলে, রহমৎ খাঁ বলিলেন, “ইনি আমার বড় ভাই; ইনি কালা ও বোবা। আমি ইঁহাকে লইয়া ধর্ম্ম-কর্ম্মের জন্য সাখি-সাহেবের দরগায় যাইতেছি। আমরা স্বাধীন পার্ব্বত্য প্রদেশের অধিবাসী।”

 এই বলিয়া তিনি লালপুরার খাঁ-সাহেবের দেওয়া সেই সার্টিফিকেটখানা দেখাইলেন। সঙ্গে-সঙ্গে প্রশ্নকর্ত্তা একেবারে নীরব হইয়া গেলেন।

 সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁ অনন্তর সেইখানে কিছু চা পান করিয়া পুনরায় লরীতে উঠিলেন, লরীও আবার পূর্ণ বেগে ছুটিয়া চলিল।

 অপরাহ্ণ ৪টা কি ৫টার সময় শরী আসিয়া থামিল আফগানিস্থানের রাজধানী কাবুল সহরে। তাঁহারা এইখানে নামিয়া পড়িলেন এবং লরী ওয়ালাকে তাহার প্রাপ্য ভাড়া মিটাইয়া দিলেন।

 আফগান-রাজ্যে ভারতবর্ষীয় মুদ্রার প্রচলন নাই। সুতরাং পেশোয়ার হইতেই তাঁহাদিগকে আফগানী মুদ্রার ব্যবস্থা