পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

ক্রুদ্ধ ভাবে কি জবাব দিল! আফগানীদের মাতৃভাষা যে পুস্তু নহে, এই সর্ব্বপ্রথম তাঁহাদের সেই অভিজ্ঞতা হইল। ইতোমধ্যে আর একটি লোককে দেখিতে পাইয়া রহমৎ তাহাকেও পুস্তু ভাষায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “মশাই, আপনি বলিতে পারেন, এই সরাইএর মালিক কে? আমরা আশ্রয়-প্রার্থী হইয়া এখানে আসিয়াছি।”

 ভাগ্যক্রমে সে তাঁহার পুস্তুভাষা বুঝিল। সে দূরে একখানি ঘর দেখাইয়া কহিল, “ঐখানে সরাইয়ের চৌকীদার আছে; আপনারা তাহার কাছে যান, সে সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়া দিবে।”

 সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ তখন সেই ঘরের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, গুর্খা-ধরণের একটি লোক দিব্যি লেপ গায়ে দিয়া শুইয়া আছে।

 রহমৎ তাহাকে আশ্রয়ের কথা জিজ্ঞাসা করিলে, সে উঠিয়া আসিল এবং একখানি ক্ষুদ্র কক্ষ দেখাইয়া কহিল, “আপনারা এইখানে থাকিতে পারেন। এক টাকা করিয়া ভাড়া লাগিবে।”

 কক্ষটি অতি ক্ষুদ্র ও জানালা-দরজা শূন্য। দরজা বন্ধ করিয়া দিলে তাহা গুদামে পরিণত হইয়া যায়। তবু তাহাই তখন তাঁহাদের নিকট স্বর্গ বলিয়া মনে হইল! তাঁহারা সেইখানেই নিজেদের জিনিষ-পত্র আনিয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিলেন।

 সেই সরাইটির প্রধান অধিবাসী ছিল কতকগুলি উট,