পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

জাপানীদের কাম্য; কেননা, তাহা হইলে জাপানের তাঁবেদারগণকে লইয়া সঙঘ পুনর্গঠিত করা যাইবে, আর ইহাতে আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘ সম্পূর্ণভাবে জাপানীদের ‘পুত্তলিকা’ হইবে। এই সকল বিবেচনা করিয়া আর কোন সভ্যই পদত্যাগ করিলেন না।

 এরূপ শোনা যায় যে, রাসবিহারী বসুর কার্য্যকলাপ এবং নেতৃত্বে যোগ্যতার অভাব ঘটিয়াছে, এরূপ ধারণা ভারতীয়গণের মন বদ্ধমূল হইয়াছিল। উৎসাহের অভাবও পরিলক্ষিত হইতে ছিল। ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাসে সিঙ্গাপুরে আর একটি প্রতিনিধি-সম্মেলন হয়। ইহাতে পূর্ব্ব-এসিয়ার সমস্ত দেশের ভারতীয় প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এখানে কার্য্যকলাপের কঠোর সমালোচনা করা হয়। এই সভায় শ্রীরাসবিহারী বসু জানান যে, সুভাষচন্দ্র বসু আসিতেছেন এবং আন্দোলনের গুরু দায়িত্বভার তাঁহার ন্যায় একজন যোগ্যতম জননেতার উপর অর্পিত হইলে তিনি পদত্যাগ করিতে সম্মত আছেন।

 ১৯৪৩ সালের ২০শে জুন শ্রীযুক্ত হাসান নামক এক মুসলমান যুবকের সঙ্গে সুভাষচন্দ্র সাবমেরিণ যোগে জাপানে উপস্থিত হন। ২রা জুলাই তারিখে তিনি সিঙ্গাপুরে পৌঁছেন এবং ৪ঠা জুলাই আহূত এক প্রতিনিধি-সম্মেলনে সর্ব্ব-সম্মতিক্রমে আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের ‘নেতাজী’ অর্থাৎ সভাপতি নির্ব্বাচিত হন এবং সকল আন্দোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শ্রীরাসবিহারী পদত্যাগ করেন।