পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

জিয়াউদ্দিন ও রহমৎ খাঁ নাম ধারণ করিয়া অপর এক বন্ধুর সহিত মোটরে চড়িয়া বসিলেন; মোটরও তৎক্ষণাৎ তাঁহাদিগকে লইয়া, পেশোয়ার পরিত্যাগ করিয়া জামরুদের পথে কাবুলের দিকে ছুটিয়া চলিল।

 জামরুদ কেল্লা তাহার অনতিদূরেই। পাছে ধরা পড়িয়া যান, এই আশঙ্কায় তাঁহারা ঠিক্ সেই পথে না যাইয়া, একটা কাঁচা রাস্তা ধরিয়া চলিলেন। কিন্তু ‘গাঢ়ি’ নামে এক গ্রামে আসিয়াই তাঁহাদের রাস্তা বন্ধ হইয়া গেল, মোটর চলিবার মত রাস্তা ইহার পরে আর নাই।

 অগত্যা সকলকেই নামিতে হইল, এবং রহমৎ ব্যতীত অপর যে বন্ধুটি পেশোয়ার হইতে এতটা পথ তাঁহাদের সঙ্গে আসিয়াছিলেন, তিনি এইখান হইতে মোটর লইয়া পুনরায় পেশোয়ারে ফিরিয়া গেলেন। স্থির হইল, সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁ দুইজন রাইফেলধারী পাঠান প্রহরীসহ পদব্রজে অগ্রসর হইবেন। আর ইহাও স্থির হইল যে, সুভাষচন্দ্র এখন হইতে বোবা ও কালার অভিনয় করিয়া যাইবেন। কারণ, সেদেশী ভাষায় তিনি একেবারেই অনভিজ্ঞ!

 পরদিন তাঁহারা ভারত-দীমান্ত পার হইয়া গেলেন এবং পার্ব্বত্য জাতি-সমূহের এক ক্ষুদ্র গ্রামে—আদ্দা-শরীফের তীর্থস্থানে উপস্থিত হইলেন। আদ্দা-শরীফের মসজিদে যে পীর সাহেব ছিলেন তিনি তাঁহাদের সুখ-সুবিধার দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখিয়াছিলেন।

 এই সময় তাঁহাদের সঙ্গী প্রহরী দুইজন চলিয়া গেল,