পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৭৯

তৎপরিবর্ত্তে অপর তিনজন সশস্ত্র প্রহরী তাঁহাদের সঙ্গী হইল। পরদিন পুনরায় যাত্রা সুরু হইল এবং রাত্রি প্রায় ৯টার সময় যে স্থানে পৌঁছিলেন, তাহার নাম লালপুরা।

 লালপুরায় আসিবার ব্যবস্থা তাঁহাদের পূর্ব্ব হইতেই নির্দ্দিষ্ট ছিল। তদনুসারে তাঁহারা লালপুরার সর্দ্দার ও জমিদার, প্রকাণ্ড এক খাঁ-সাহেবের অতিথি হইলেন। আফগান-সরকারে এই খাঁ-সাহেবের ক্ষমতা ছিল অসীম।

 কঠোর পথশ্রমে ও উদ্বেগে সুভাষচন্দ্র এই সময় রীতিমত ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। খাঁ-সাহেব তাহা লক্ষ্য করিয়া কহিলেন, “আর সামান্য কয়েক মাইল গেলেই আপনারা কাবুল-নদীর তীরে উপস্থিত হইবেন। সে নদী পার হইলেই ওপারে বাঁধানো রাস্তা পাওয়া যাইবে। সেই পথে বাস-চলাচল করে; তাহারই কোন বাসে চাপিয়া আপনারা কাবুলে পৌঁছিতে পারিবেন।”

 লালপুরা পরিত্যাগ করিবার কালে তিনি সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁকে একটি পরিচয়পত্র লিখিয়া দিয়া বলিলেন, “পথে কেউ আপনাদের কোন সন্দেহ করিলে বা কোন বিপদের আশঙ্কা দেখিলে এই পরিচয়পত্র দেখাইবেন—তাহা হইলে কেহই আর কোন বাধা সৃষ্টি করিতে সাহস পাইবে না।”

 পরিচয়পত্রখানি পারসী ভাষায় লেখা। তাহাতে লিখিত ছিল:—

 “এই পত্র-বাহক রহমৎ খাঁ ও জিয়াউদ্দিন পার্ব্বত্য প্রদেশের অধিবাসী। ইঁহারা সাখি-সাহেবের দরগায় যাইতে-