ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট কর্ত্তৃক নেপালের রেসিডেণ্ট রূপে প্রেরিত হইয়াছিলেন। তিনি নেপাল রাজের সহিত “বাণিজ্য এবং মৈত্রীর” একটী তর্কের মীমাংসার জন্য অনেক চেষ্টা করেন। নেপাল দরবার মুখে তাহার প্রতি যথেষ্ট সৌজন্য এবং ভদ্রতা প্রকাশ করিতেন বটে, কিন্তু লেখাপড়ার ব্যাপারে বড় অগ্রসর হইতেন না। ক্রমে Captain Knoxএর ধৈর্য্যচ্যুতি হইতে লাগিল। এই সময়ে জ্যেষ্ঠা মহারাণী ত্রিপুরাসুন্দরী নেপালে প্রবেশ করিয়াছেন এই সংবাদ শুনিবামাত্র কনিষ্ঠা মহারাণী কাপটেন নক্সের (Captain Knox) সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করিলেন। কিন্তু ত্রিপুরাসুন্দরী অন্তরে ইংরাজদিগকে অতিশয় সন্দেহের চক্ষে দর্শন করিতেন। ইংরাজের সহিত সংশ্রবে আসিতে প্রস্তুত ছিলেন না। কাপটেন নস্ক শীঘ্রই নেপাল দরবারের এই প্রকার বৈরীভাব বুঝিতে পারিলেন। তিনি সভা ভঙ্গ করিয়া চলিয়া আসিলেন এবং ইংরাজ গবর্ণমেট কাশিতে মহারাজ রণবাহাদুরকে নেপালে আসিবার অনুমতি দিলেন। এত দিন ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট এক প্রকার জোর করিয়া রণবাহাদুরকে কাশীতে রাখিয়াছিলেন। রণবাহাদুর অচিরে নেপালে উপস্থিত হইলেন। তখনও দামােদর পাঁড়ে মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত ছিলেন। তিনি একদিন সৈন্য লইয়া রাজার সম্মুখীন হইলেন। দামােদর অন্তরে রণবাহাদুরের একান্ত বিরােধী ছিলেন। রণবাহাদুরের সহিত ভীমসেন থাপা নামে এক যুবক ছিলেন। রাজার উপর এ বক্তির অপ্রতিহত ক্ষমতা ছিল। মহারাজ সৈন্যগণের সম্মুখীন হইলে তিনি তাঁহাকে
পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১১৫
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৮৩