বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
88
নেপালে বঙ্গনারী।

করিয়া আদিবুদ্ধে বিলীন হইয়াছেন। চতুর্থ বুদ্ধ অমিতাভের পুত্র পদ্মপাণি মৎস্যেন্দ্রনাথের উপর বর্ত্তমান জগতের ভার পড়িয়াছে। তিনি ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর প্রভৃতি দেব দেবীগণের সাহায্যে জগতের তাবৎ কার্য্য পরিচালিত করিতেছেন। এইজন্য পদ্মপাণি মৎস্যেন্দ্রনাথের নেপালের নেওয়ারদিগের নিকট এতাদৃশ সম্মান। অন্য সকল বুদ্ধ কেবল নামমাত্র আছেন; পদ্মপাণিই সর্ব্বত্র পূজিত হয়েন। পদ্মপাণির কার্য্য সমাধা হইলে তিনিও আদিবুদ্ধে লীন। হইবেন।

 নেপালের নেওয়ারগণ মানবীয় বুদ্ধ ব্যতীত অন্যান্য মানবীয় বোধিসত্ত্বের পূজা করিয়া থাকেন। এই সকল মানবীয় বোধিসত্ত্বের মানবীয় বুদ্ধের সহিত পিতাপুত্রের সম্বন্ধ না হইয়া গুরুশিষ্যের সম্বন্ধ। যে মহাত্মা চীন হইতে আগমন করিয়া নেপালে বৌদ্ধধর্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন, সেই মাঞ্জুশ্রী এই শ্রেণীর বোধিসত্ত্ব। নেপালে মাঞ্জুশ্রীর অনেক মন্দির আছে; এবং পদ্মপাণির পরেই নেওয়ারদিগের হৃদয়ে ইহার আসন। এই সকল মানবীয় বোধিসত্ত্বের নিম্নে আবার এক শ্রেণীর মানব আছেন যাঁহারা বিশুদ্ধ জ্ঞান, কঠোর সাধনা এবং পবিত্র জীবনদ্বারা বুদ্ধত্ব লাভ করিয়াছেন। তাঁহারা কেহ বা জীবিত আছেন, কেহ বা গতাসু হইয়াছেন। তিব্বতের লামাগণ এই শ্রেণীভুক্ত। তাঁহারা বুদ্ধের অবতার বলিয়া পূজিত হয়েন, কিন্তু লামাদিগের অবতারবাদ প্রকৃত বৌদ্ধশাস্ত্র মতে অসম্ভব ব্যাপার; কারণ, প্রকৃত বুদ্ধত্ব লাভ করিলে বা আদিবুদ্ধে লীন হইলে আর জন্মগ্রহণ সম্ভব নয়। কিন্তু