পাতা:পঞ্চনদের তীরে - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম ও দ্বিতীয় বলি

উঠল, “নমস্কার ভারতবর্ষ! নমস্কার পঞ্চনদের তীর!” তারপরেই আবার এলিয়ে শুয়ে প’ড়ে অন্তিম নিশ্বাস ত্যাগ করলে।

 গ্রীক সেনাধ্যক্ষ চমৎকৃত ভাবে দুই মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে বললে, “এই যদি ভারতের বীরত্বের নমুনা হয়, তাহ’লে আমাদের অদৃষ্ট নেহাৎ মন্দ বলতে হবে!”

 আর একজন সৈনিক বললে, “এরা ছিল তো তিনজন, কিন্তু আর-একটা লোককে দেখতে পাচ্ছি না কেন?”

 সেনাধ্যক্ষ চম্‌কে উঠে বললে, “ঠিক বলেছ, তাই তো! সে পালাতে পারলে এত রক্তারক্তি, হত্যাকাণ্ড সব ব্যর্থ হবে!”

 গ্রীকরা ব্যস্ত হয়ে পাহাড়ের আরো উপরে উঠতে লাগল।

 কিন্তু সুবন্ধু পাহাড় ছেড়ে নেমে গেছে পাঁচ ঘণ্টা আগে। স্বদেশের পথ থেকে তাকে আর কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। পুরঞ্জন ও চিত্ররথের আত্মদান বিফল হবে না।

 তখনো ভীমার্জুনের বীরত্ব-গাথা প্রাচীন কাব্যের সম্পত্তি হয় নি। ভারতের বীরগণ তখন ভীমার্জুনকে প্রায় সমসাময়িক ব’লে মনে করতেন। ভারতের ঘরে ঘরে, পঞ্চনদের তীরে তাই তখন বিরাজ করত লক্ষ লক্ষ পুরঞ্জন ও চিত্ররথ!

৪১