পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে বললেন, “বন্ধু দেখছি তুমি সৈনিক।”
সুবন্ধু অভিবাদন ক’রে হেসে বললে, “আজ্ঞে, আমাকে কেউ সুধু বন্ধু ব’লে ডাকে না, কারণ আমার নাম সুবন্ধু!”
—“তুমি সুবন্ধু কি কুবন্ধু জানিনা, কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি বীর। আমার চোখ মিথ্যা দেখে না। কিন্তু তোমার কি আর কোন পরিচয় নেই?”
—“আমি ভারতসন্তান।”
—“সে গর্ব আমিও করতে পারি!”
-“আমার ব্রত ভারতকে জাগানো।”
—“আমারও ঐ ব্রত।”
—“তাই যদি হয়, তবে সীমান্তের দিকে না গিয়ে আপনি ফিরে আসছেন কেন? আপনি কি জানেন না, ভারতের রক্তপান করবার জন্যে সীমান্তে এসে হাজির হয়েছে যবন দিগ্বিজয়ী?”
মৃদু হাস্যে ওষ্ঠাধর রঞ্জিত ক’রে অশ্বারোহী বললেন, “জানি কারণ আমি আলেকজাণ্ডারের বন্ধুরূপে গ্রীক শিবিরেই ছিলুম!”
—সুবন্ধু সচমকে দুই পা পিছিয়ে গিয়ে ক্ষিপ্র হস্তে অসি কোষমুক্ত করতে উদ্যত হ’ল।
অশ্বারোহী হাস্যমুখে শান্ত স্বরে বললেন, “সুবন্ধু, তোমার তরবারিকে অকারণে ব্যস্ত কোরো না। আমি আলেকজাণ্ডারের বন্ধু হ’তে পারি কিন্তু ভারতের শত্রু নই! আমার নাম চন্দ্রগুপ্ত, নন্দবংশে জন্ম।
সুবন্ধু বিপুল বিস্ময়ে বললে, “মহারাজা নন্দ—”
বাধা দিয়ে ক্রুদ্ধ স্বরে চন্দ্রগুপ্ত বললেন, “ও নাম আমার সামনে উচ্চারণ কোরোনা! তুমি কি জানো না, দুরাত্মা নন্দ প্রাচীন, পবিত্র
৬৮