পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শিবনাথ-জীবনী । হইয়া পড়িলেন। ওদিকে অপর বন্ধু অপেক্ষা করিয়া দেখিলেন। যে ব্ৰাহ্মণের আর সাড়া শব্দ নাই-একাই মাছ ধরিতে যাই ভাবিয়া পুকুর পাড়ে আসিয়া দেখেন বন্ধু অজ্ঞান হইয়া তথায় পড়িয়া আছেন। অনেক পরিচর্য্যার পর যখন র্তাহার সংজ্ঞা হইল তখন সকলে তার বাঘের মাথায় চপেটাঘাতের গল্প শুনিয়া কৌতুক করিতে লাগিলেন। সেকালে মজিলপুরের লোকের এই প্রকারে বাঘের সহিত অর করিতে হইত। বাঘের উপদ্রব নিবারণের জন্য এক এক পাড়া বেড়া দিয়া ঘেরা থাকিত, তাহার একটি মাত্ৰ প্ৰবেশ দ্বার দিন থাকিতে থাকিতে বন্ধ করা হইত, তৎপরে সকলে নিশ্চিন্ত মনে আপন আপন গৃহে কাজ কৰ্ম্ম পূজা অৰ্চনা করিত। একশত বৎসর পূর্বে যে মজিলপুর গ্রামের এই অবস্থা ছিল, তিনশত বৎসর পূৰ্ব্বে সেখানে ত গহন কানন ও হিংস্ৰ জন্তুর আবাস ভূমি ছিলই! এই মজিলপুর গ্রামে ১৬০৪ খৃষ্টাব্দে-১০১১ সালে যখন দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীরের সেনাপতি মানসিংহ যশোহরাধিপতি প্ৰতাপাদিত্যকে যুদ্ধে জয় করিতে আসেন, তখন তাহার মুন্সী দক্ষিণ রাঢ়ী সমাজের কাশ্যপ গ্রোত্ৰিজ কায়স্থ পুরুষোত্তম দত্তের বংশজ সপ্তদশ পৰ্যায় ভুক্ত চন্দ্রকেতু দত্ত, যশোহরের ধুমঘাটের সন্নিহিত চাপা ফুলি গ্রাম হইতে পলায়ন করিয়া আপন আত্মীয় কুটুম্ব, : পুরোহিত, ব্ৰাহ্মণ ইত্যাদি সঙ্গে লইয়া এই মজিলপুর গ্রামে আসিয়া বাস স্থাপন করেন। মজিলপুর গ্রামের অস্তিত্বই তখন ছিল। ন-গ্ৰামটী তখন খালের সন্নিহিত এক নব নিৰ্ম্মিত চরমাত্ৰ । শিবনাথের পূর্ব পুরুষ দাক্ষিণাত্য বৈদিক কুলজ শ্ৰীকৃষ্ণ উগােতা।