পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ বড় বেশি সস্তা হিসেব শিখেছি। আমরা কি ওই হিসাব কষছি ? ওই হিসেব কষে দধিক্কু তোমাকে খাওয়াচ্ছি ? মন্দাকিনী বলে, সোজা কথাটা বঝিস নে তই, যে তোর দেহটা ঠিক থাকলে তবেই অামার সংসার চলবে ?

  • বোঝা উচিত ছিল।

ঃ হয় স্বামী, নয়তো, রোজাগেরে ছেলে-বেচেবতে থাকলে সব বজায় রইল, নইলে মেয়েদের সব ফুরিয়ে গেল । ওই তো ও বাড়ির রাখালবাব, রোগে ব্যারামে মরতে বসেছে, তব ওর জ্ঞান নেই যে মেয়েদের পায়ের তলায় চাপতে পারার নিয়ম চালায় গন্ডারা, মেয়েদের ওপর ওই নিয়ম চালাতে গেলে নিজেকেও মরতে হবে । বকুল মত স্বামীর ঘর-বাড়ি টাকা-পয়সার দখল নিয়ে বাকী জীবনটা ওই সংসারের দায় নিয়ে কাটিয়ে দেবার জন্য যেদিন রওনা দেবে, তার দিন চারেক আগে মকুল ফিরে অসে । দেহটা তার একটু ক্লিস্ট দেখায় কিন্ত ভাবটা যেন তার গব। আর অহঙ্কারে ভরা। স্নান করে এসে কপালে আর সিথিতে মোটা করে সিদর লাগিয়ে সে মাকে সরিয়ে দিয়ে তরকারি কুটিতে বসে । প্রশ্ন করে কেউ জানতে না চাইলেও নিজেই সাড়ম্বরে বণনা করে তার ঘরে আসার অভিজ্ঞতার কথা ! বকুলের স্বশরবাড়িতে ছিল মোটে দশদিন । ঃ দদিনে ওলোট-প্যালোট করে দিয়ে এসেছি । ওরা বকুলকে ঠকাবার মতলব করেছিল, বকুল এদিকে বোকা হাবা ছেলেমানষের মত একটা মহাপাপ করতে চলেছিল । আমি বঝিয়ে বলতে ওদের চৈতন্য হল । বকুলের দিকে চেয়ে বলে, খাব খাতির পাবি। এবার । বকুল চুপ করে থাকে । মকুল তরকারি কুটিতে ওস্তাদ --তার রান্নারও সকলে প্রশংসা করে । বার বার চোখ তলে সকলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে একটানা কথা বলতে বলতে সে বাঁধাকপি কুচি কুচি করে কেটে চলে । বলে, ক’দিনে চার চারটে তীর্থ সেরে এলাম। কপালের জোর না থাকলে কি হয় ? অবশরিবাড়ি গেলাম, বাস, গাড়ী ভাড়াতেই সব পয়সা গেল ফুরিয়ে। মাকুল একটু হাসে । ঃ আমায় দেখে উনি প্রথমে একটু ভড়কে গিয়েছিলেন । এমন হঠাৎ গিয়ে হাজির হলাম তো । তারপর যখন বললাম যে আমি দ’একটা তীর্থে যেতে যাই, খরচার টাকা চাইতে এসেছি - তখন অন্যরকম হয়ে গেল মানষটার মািখখানা। সলাজভাবে মাথা নামিয়ে ষেন তরকারি কোটাতেই মনোনিবেশ করে মকুল ; সেইভাবে বলে, বিকেলে অফিস থেকে ফিরে বলল, দ’দিন তবে থেকেই যাও SOS