এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নিষ্কৃতি
‘না না, ছিছি, ছিছি।’
এই ব’লে সে মঞ্জুলিকা দু হাত দিয়ে মুখখানি তার ঢেকে
ছুটে গেল ঘরের থেকে।
আপন ঘরে দুয়ার দিয়ে পড়ল মেঝের ’পরে—
ঝর্ঝরিয়ে ঝর্ঝরিয়ে বুক ফেটে তার অশ্রু ঝ’রে পড়ে।
ভাবলে, ‘পোড়া মনের কথা এড়ায় নি ওঁর চোখ।
আর কেন গো? এবার মরণ হোক।’
মঞ্জুলিকা বাপের সেবায় লাগল দ্বিগুণ করে
অষ্টপ্রহর ধরে।
আবশ্যকটা সারা হলে তখন লাগে অনাবশ্যক কাজে;
যে বাসনটা মাজা হল আবার সেটা মাজে।
দু-তিন ঘণ্টা পর
একবার যে ঘর ঝেড়েছে ফের ঝাড়ে সেই ঘর।
কখন যে স্নান, কখন যে তার আহার,
ঠিক ছিল না তাহার।
কাজের কামাই ছিল নাকো যতক্ষণ না রাত্রি এগারোটায়
শ্রান্ত হয়ে আপনি ঘুমে মেঝের ’পরে লোটায়।
যে দেখল সেই অবাক হয়ে রইল চেয়ে;
বললে, ‘ধন্যি মেয়ে!’
বাপ শুনে কয় বুক ফুলিয়ে, ‘গর্ব করি নেকো—
কিন্তু তবু আমার মেয়ে সেটা স্মরণ রেখো।
৪৯