পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৬ )

হইবে। শান্তি-রক্ষার নিমিত্তে গবর্নমেণ্ট যে কর সংগ্রহ করেন, তাহার যৎ কিঞ্চিৎ অংশ এইক্ষণে শান্তি-রক্ষকদিগের বেতনেতে ব্যয় হয়। এই প্রস্তাবিত রাজ নিয়ম অনুযায়ী ক্রমে ক্রমে এমন সকলও নিয়ম সংস্থাপিত হইতে পারে,যদ্দ্বারা চৌকীদারদিগের সাম্বৎসরিক সমুদায় বেতন ভূম্যধিকারিদিগের সদর জমার উপর বৃদ্ধি হইয়া গবর্ণমেণ্ট সেই যৎকিঞ্চিৎ ব্যয় হইতেও নিষ্কৃতি পায়েন। বাঙ্গলা দেশের ভূম্যধিকারিরা যে সকল প্রতিজ্ঞাকে অনুল্লঙ্ঘনীয় জ্ঞান করিয়া তাহার উপর নির্ভর করিয়া আসিতেছেন, এই প্রস্তাবিত রাজনিয়মকে আমরা তাহার প্রতিচ্ছেদক রাজনিয়ম সকলের অগ্রসর বোধ করিয়া অত্যন্ত শঙ্কাযুক্ত হইয়াছি।

 ১৬। চতুর্থ ধারাতে ইহাও লিখিত আছে, যে চৌকীদারেরা যদি বেতন না পায়, তবে তাহা আদায়ের নিমিত্তে দারোগারা ভূম্যধিকারি ব। অন্য অন্য ব্যক্তিদিগের বিষয় ক্রোক করিতে পারিবেন। দারোগারদের উপর কোন ক্ষমতা অর্পিত হইলে তাহাতে যেরূপ অহিতাচার হইবার সম্ভাবনা, তাহা, সকলেই বিলক্ষণ অবগত আছেন। রাজপুরুষেরাও তাহা ভূয়োভূয়ঃ স্বীকার করিয়াছেন; আশ্চর্য্যের বিষয় এই, যে তথাপি তাঁহারা এমত নিয়ম সংস্থাপন করিতে চাহেন।

 ১৭। গ্রামে গ্রামে চৌকীদারের সংখ্যা কত হইবে আর তাহারদের বেতন কি পরিমাণে নিরূপিত হইবে, তাহা দ্বিতীয় ধারার শেষ ভাগে এবং চতুর্থ ধারার প্রথম ভাগে নির্দ্ধারিত হইয়াছে। এইরূপ নির্দ্ধারণ করাতে কল্পনা করিয়া লওয়া হইয়াছে, যে ভূম্যধিকারিদিগকেও