পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৭ )

প্রজাদিগকে অবশ্যই চৌকীদার নিযোজিত করিতে হইবে। এরূপ কল্পনা না হইলে এবিষয়ের উপর গবর্নমেণ্ট এপ্রকার বিস্তারিত রূপে কখনই হস্তক্ষেপ করিতে পারেন না। অন্য কোন প্রকার কর্ম্মচারি নিযুক্ত করিবার নিমিত্তে ও তাহারদিগের সংখ্যা ও বেতন নিরূপণ করিয়া দিবার নিমিত্তে পল্লীগ্রাম সমাজের উপর বল প্রকাশ করিলে যেরূপ অন্যায় করা হয়, এই রাজনিয়মের বিধান সকলও সেইরূপ অন্যায়, তাহা অপেক্ষা কোন অংশেই ন্যূন নহে। পল্লীগ্রাম সমাজের কিরূপ অবয়ব ও সেই সকল সমাজের ভৃত্য নিযোজিত হইবার কি বিধি, আমারদিগের বিবেচনায় রাজকর্ম্মচারিদিগের সে বিষয়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি না হওয়াতেই প্রস্তাবিত রাজনিয়মে এমন সকল বিধান লিখিত হইয়াছে।

 ১৮। প্রস্তাবিত রাজনিয়মের প্রতি আমারদিগের যে সকল আপত্তি, তাহা এই প্রদর্শন করিলাম। এই ক্ষণে,শান্তিরক্ষার নিমিত্তে যে সকল কর সংগৃহীত হয়, অথচ তদ্বিষয়ে তাহা নিযোজিত হয় না,তাহার বিবরণ করিতেছি। সকলেই বিশিষ্ট রূপে অবগত আছেন, যে যৎকালে ঈষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানী দেওয়ানী গ্রহণ করেন, তৎকালে ভূম্যধিকারিরা শান্তি-রক্ষকদিগের বেতন বিষয়ে দায়ী ছিলেন। পূর্ব্বে শান্তি-রক্ষার্থে স্থানে স্থানে যে সকল ফৌজদার ও থানাদার নিযুক্ত থাকিত,তাহারদিগের বেতন দিবার নিমিত্তে “মশরূত থানাজাত” বলিয়া যে আড়াই লক্ষ টাকা, আর কেবল ফৌজদারদিগের জন্য “আবওয়াব ফৌজদারী” বলিয়া যে ছয় লক্ষ টাকা ছিল, তাহা গবর্ণমেণ্টের প্রথম বন্দোবস্তে জমা ভুক্ত হয়।