পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》、8 পাচুঠাকুর । রেখেছিল, আর লাভ করে বড় মান্থৰ হৰে ভেবেছিল। মূখে ছাই পড়েছে—জুনের দর কম হওয়াতে একেবারে গোল্লায় গাছেন । কেমন, ইষ্টের দমন হলে কি না ? শিষ্টের পালনও তেমনি। যে দশ টাকা রোজগার করে, কি যার বাপের দশ টাকা আছে, সময়ে অসময়ে চাদাটা আস্টা দেয়—সেই ত শিষ্ট। তা স্বচ্ছন্দে এখন পৌনে সাত পয়সার মুন সাড়ে পাঁচ পয়সায় পাবে। এরা এখন চার পা তুলে রাজাকে আশীৰ্ব্বাদ কোরবে, আর অনায়াসে মুনের পয়সা বাচিয়ে তাতে তেল কিনে হৰ্ত্ত কর্তাদের মন যোগাতে পারবে। তবেই লেখ, শিষ্ট্রের পালনটাও হলো। লাভের অঙ্কেও স্থা পয়সা এলে । আর, দিনে বাউরি, বিনে তুলে, হল ক্যাওরা—এরা কি মানুষ, তাই এদের জন্তে মাথা ধরতে হবে ? ব্যাটার৷ একদমে আধ পয়সার বেশী মুনকিনবে না, তা রাজার দোষ কি বলে ? এরা নেহাৎ পাজি ; এমন পাজি লোকের কথায় থাক্তেই নেই। আর এক কাণ্ড হয়েছে, কাপড়ের মাশুল উঠে গ্যাছে। এখন দেদার কাপডের আমদানি হবে, দেদার টাকার রপ্তানি হবে। তা হোলেই বাণিজ্য, আর বাণিজ্য হোলেই লক্ষ্মী! বোকা ভাতির বিনাশ, বুদ্ধিমন্ত সদাগরের জন্ত পাটের চাষ ইত্যাদি ইত্যাদি। বোঝা গেল যে, ভারতের এবার উপকার। তবে লোকে বেবে না, এই যা। তারা বলে কি-শুনলেও হাসি পায়—তারা বলে যে, বিলাতি কাপড়ে আমাদের তাতিকুল গেল, আর বিলাতী মদে বোষ্টমকুল গেল ; এখন আমরা জুয়ের বার। শোনো একবার কথাটা ! 劇 এমন যে বজেট, মূৰ্ধ লোকে একেই বলে—বজ্জাতি।