পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেপা খগেশের টিপনী ૨૦ ૪ ভদ্রগণ শাস্ত্রবাক্যের সার্থকতা সম্পাদনে বন্ধপরিকর হইয়া কষ্ট্ৰী অবতারের সহায়তা করি । কৃতকার্য্য হইলে আমরাও ক্ষুদ্র অবতার হইতে কেন না পারিব ? উপসংহারে আর একমাত্র কথা বলিব;–মুখে সকল বাঙ্গালীই পঞ্চশরের প্রবল প্রতাপ স্বীকার করেন, ব্যবহারেও তাহার অনুগমন করেন; কিন্তু লিখিবার বেলায় এত স্বরবাহুল্য কেন ? পূৰ্ব্বাপর অসংলগ্নত জন্ত বঙ্গবাসীর কি লজ্জিত হওয়া উচিত নহে ? গর্দভের একমাত্র স্বর—অথচ সেই এক স্বরেই গর্দভ ইহ জগতে অদ্বিতীয়। আইস, বন্ধুগণ, যত্ন করি, এখন পঞ্চস্বর অবলম্বন করি, ক্রমে আমরাও একম্বরে অদ্বিতীয় হইতে পারিব । ( \| যাহা হউক, বলিয়া কহিয়া দিলেও, শিক্ষাবলে অভ্যাস করিয়া ও যাহার: “Ami chalilam” দেখিলে “আমি চলিলাম" পাঠ করিতে পরিবে না, তাহারা শিবের অসাধ্য; তাহদের জন্ত আমাদের প্রতিপত্তি, আমাদের বুদ্ধিমন্ত, আমাদের দূরদশিত নিবৃত্ত হইয়া থাকিতে পারে না । ভারতবর্ষের যদি কখনও প্রকৃত উন্নতি হয়, যদি কখনও বরফ শাম্পেনে শালগ্রামের "শীতল সেবা" হয়, তবে জানিবেন, সে আমাদের কর্তৃকই হইবে। খেপা খগেশের টপনী। আমি ক্ষেপ, না তোমরা ক্ষেপ ? তোমাদের যদি ফুরসুৎ থাকে, তবেই আমাকে দেখিয়া এক আধ-বার তোমরা হাসিয়া থাকো । অথচ মাথা মুণ্ড কি যে করিতেছ, কেন যে তোমরা সদা শশব্যস্ত, তার ঠিকানা নাই। আমি সারা দিন-রাত হাসি, তোমাদিগকে