পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

< ● ●、 *A* {| 1 لهجان| , | দেখিলেও হাসি, না দেখিলেও আপন মনে, মনে মনে হাসি । ক্ষেপ তোমরা, না ক্ষেপ আমি ? —উকীল দেখিলেই “হরি হরি বলে,-হরিবোল” বলিয়া চীৎকার করিতে আমার ইচ্ছা হয়। উকীল হইলেই মানুষের আশ। ভরসার, শিক্ষা পরীক্ষার, কার্যা বীৰ্য্যের অবসান হয়। একটি একটি উকীল ছয়, আর বঙ্গদেশ এবং বঙ্গ ভাষা গল ধরাধরি করিয়া এক এক ফোট চক্ষের জল ফেলিয় থাকে। মরণ নানা প্রকার, তাহার মধ্যে উকীল হওল এক প্রকার। পয়সা খরচ করিলে উকীলে কথা কয়, না করিলে কয় না। পয়সা খরচ করিলে কলেও শব্দ বাহির হয়, অগিনে ও সঙ্গীত হয় । —বিবাহ আর শ্রাদ্ধ একই রকম জিনিষ। লুচি, মোগু, ধূম, ধাম, আস যাওয়া দুইয়েই আছে। আর, শ্রাস্থের সময়ে টের পায় না—যার শ্ৰাদ্ধ, সেই ; বিবাহের সময়ে টের পায় ম—বর । যে শ্মশানে মছা যায়, সেখানে প্রেতের অভাব নাই, যে বাসরঘরে বর যায়, সেখানেও প্রেতিনী অর্থাৎ পেত্নীর অভাব নাই । আমি এখন চি& করিতেছি, বিবাহ করি কি মরি। এখন ঝোক বিবাহের দি কই । তাতে বেঁচে মরা হবে। —লোকে পড়ে না, কেন না পড়িবার উপযুক্ত বই নাই। লোকে লেখেন, কেন না পড়িবার প্রবৃত্তি কাহারও দেখা যায় না। পৃথিবীতে যত বন্দোবস্ত আছে, তার মধ্যে এইটি আমার মনের মতন। —চাকরির বড় ভক্ত বলিয়া বাঙ্গালীকে অনেকে অভিসম্পাত করে, ঠাট্টা করে, গলাগলি দেয় ; অথচ এটা বোঝে ন যে, স্বাধীন কাজে অক্ষম বলিয়াই বাঙ্গলী চাকরির জন্ত এত লালায়িত। স্বাধীন কাজে যে অক্ষম, তাহার কারণ এই যে, সকলেই চাকরির চেষ্টায় ব্যস্ত, সুতরাং কাজ শেখে কে, শেখেই বা কখন ?