পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సారి " পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১ । সু৪৪ } ধৰ্ম্মানবচ্ছিন্নেযু সর্বধৰ্ম্মামুপাতিষু সৰ্ব্বধৰ্ম্মাত্মকেষু সমাপত্তিঃ স৷ নির্বিচারেত্যুচ্যতে । এবং স্বরূপং হি তদ্ভূতসূক্ষং এতেনৈব স্বরূপেণালম্বনীভূতমেব সমাধিপ্রজ্ঞাস্বরূপমুপরঞ্জয়তি। প্রজ্ঞা চ স্বরূপশূন্তেবার্থমাত্রা যদা ভবতি তদা নির্বিচারেত্যুচ্যতে, তত্ৰ মহদ্বস্তুবিষয়া সবিতর্ক নির্বিতর্ক চ,সূক্ষবিষয়াসবিচার নির্বিচারা চ, এবমুভয়োরেতয়ৈব নিৰ্ব্বিতৰ্কয়া বিকল্পহানির্ব্যাখ্যাত ইতি ॥ ৪৪ ৷ অনুবাদ। যাহা হইতে ঘটপটাদি ধৰ্ম্ম ( কাৰ্য্য) প্রকাশ হইয়াছে, উপরি অধঃ প্রভৃতি দেশ, বৰ্ত্তমানাদি কাল ও তন্মাত্রারূপ কারণ যাহার অনুভূত হইয়াছে, এতাদৃশ ভূতস্বল্প ( পরমাণু) বিষয়ে সমাধিকে সবিচারা বলা যায়। এস্থলেও পূৰ্ব্বের ন্যায় এক ইত্যাকার জ্ঞানের বিষয়, বর্তমান ধৰ্ম্মবিশিষ্ট ভূতস্বহ্ম আলম্বনরূপে সমাধিপ্রজ্ঞায় ভাসমান হয়। যেমন পরমাণুপুঞ্জ হইতে অতিরিক্ত ঘটপটাদি অবয়বী স্বীকার হইয়াছে, তদ্রুপ তন্মাত্র সমষ্টি হইতেও অতিরিক্তরূপে একটা পরমাণু স্বীকার হইতে হইবে, (পাতঞ্জলমতে পরমাণু সকল তন্মাত্র হইতে উৎপন্ন হইযা থাকে ) । নীলপীতাদি সমস্ত প্রকার রহিত, দেশ, কাল ও নিমিভের অনুভববিহীন, ভূত ভবিষ্যৎ ও বর্তমান ঘটাদি সমস্ত ধৰ্ম্মবিরহিত, অথচ তাদৃশ ঘটাদিরূপ ধৰ্ম্মে অনুসরণ করিতে সমর্থ, উক্ত সমস্ত ধৰ্ম্মাত্মক পরমাণুতে যে সমাধি হয় তাহাকে নির্বিচারা বলে। উল্লিখিত স্বরূপই ভূতস্থক্ষ্মের স্বাভাবিক, ( দেশকালাদি তাহাতে আরোপিত হয় মাত্র ) । পরমাণু সকল নিজের এইরূপ স্বভাবেই ভাসমান হইয়া সমাধি জ্ঞানকে উৎপাদন করে, অর্থাৎ যথার্থ বস্তুকে বিষয় করাই বুদ্ধির স্বভাব, সুতরাং পরমাণুর আরোপিত ঘটাদি ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া স্বরূপমাত্রকেই বিষয় করে। সমাধিজ্ঞান যখন নিজের স্বরূপ ত্যাগ করিয়াই যেন অর্থ মাত্র (ভূতত্ত্বক্ষ স্বরূপ) হইয়া যায় তাহাকে নিৰ্ব্বিচারা বলে। সবিতর্ক ও নির্বিতর্ক সমাধি মহদ্বস্তু বিষয়ে হয়, সবিচার ও নিৰ্ব্বিচার সমাধি স্বাক্ষবিষয়ে হইয়া থাকে। উভয়ের অর্থাৎ নিজের (নির্বিতর্কের ) ও নির্বিচারের ব্রিকল্প (আরোপ) ত্যাগ এইরূপে নিৰিতর্ক সমাধি দ্বারা ব্যাখ্যাত হইল ॥ ৪৪ ৷ মন্তব্য। নৈয়ায়িকগণ পরমাণুকে নিরবয়ব নিত্য বলিয়া স্বীকার করেন, পতঞ্জলিমতে পরমাণু নিত্য নহে, উহার অবয়ৰ আছে, তন্মাত্র হইতে পরমাণুর