পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Գե- পাতঞ্জল দর্শন । পা ২। সূ৩৮। ] তাৎপৰ্য্য। অস্তেয় ব্রতসিদ্ধি হইলে অর্থাৎ স্বপ্নেও পরদ্রব্যে অভিলাষ না হইলে যোগীর সঙ্কল্পমাত্রেই সমস্ত রত্নের উপস্থিতি হয় ॥ ৩৭ ॥ ভাষ্য। সর্বদিকস্থান্যস্তোপতিষ্ঠন্তে রত্নানি ॥ ৩৭ ৷ অনুবাদ। অস্তেয় স্থিরত্ব হইলে সকুল দিক্ হইতে রত্ন সকল যোগীর নিকট উপস্থিত হয় ॥ ৩৭ ॥ ●, মন্তব্য । গোরক্ষনাথের গুরু মীননাথ কোনও একটী বিষয়াসক্ত দুবৃত্ত রাজাকে ভক্তিযোগ উপদেশ দিয়া সৎপথে লইবেন এই অভিপ্রায়ে কিছুকাল র্তাহার নিকট অবস্থিতি করেন, ক্রমে উভয়ের প্রণয় বৃদ্ধি হয়, পরিণামে ফলে বিপরীত হয়, মীননাথই রাজার দ্যায় বিষয়াসক্ত হইয় পড়েন। এদিকে গোরক্ষনাথ গুরুদেবের বিপরীত আচরণ দেখিয়া নিতান্ত ব্যথিতহৃদয়ে একদ কোনওক্রমে মীননাথের সহিত দেখা করেন এবং কোনওরূপে পূৰ্ব্বতন ‘জ্ঞানযোগ তাহাকে স্মরণ করাইয়া দেন তখন মীননাথের অধোগতি অনুভূত হয় এবং উভয়ে বহির্গত হইয়া গোরক্ষনাথের অনিচ্ছাসত্বেও মীননাথ বহুমূল্য রত্নাদি লইয়া গমন করেন দেখিয়া গোরক্ষনাথ বলেন গুরুদেব ঐ ভার আমায় প্রদান করুন আমি বহন করিব, মীননাথ ঐ রত্নভাণ্ড গোরক্ষনাথকে প্রদান করিলে তিনি ক্রমশঃ উহা অরণ্যে নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন দেখিয়া মীননাথ ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন তুমি বহুমূল্য রত্নরাশি নষ্ট করিতেছ, তখন গোরক্ষনাথ বলিলেন ইহার আর মূল্য কি ? প্রস্রাব করিলেও উহা উৎপন্ন হয়। পরীক্ষা করিবার নিমিত্ত মীননাথ গোরক্ষকে আদেশ করেন, আদেশ অনুসারে গোরক্ষনাথ প্রস্রাব করিলেন, ভূরি ভূরি রত্নরাজি তাহাতে দেখা গেল, তখন মীননাঃ বিক্ষিত হইয়া জানিলেন বিষয়বৈভব অনর্থেরই মূল, উহার মূল্য নাই। গোরক্ষ নাথের প্রস্রাব হইতে রত্ন হওয়া অস্তেয়প্রতিষ্ঠার ফল ভিন্ন আর কিছুই নহে। এরূপ বিচিত্র দৃষ্টান্ত অনেক আছে ॥৩৭ ॥ সূত্র। ব্রহ্মচৰ্য্যপ্রতিষ্ঠায়াং বীৰ্য্যলাভ ॥৩৮ ব্যাখ্যা। ব্ৰহ্মচৰ্য্যপ্রতিষ্ঠায়াং (বীৰ্যনিরোধন্ত সিম্বো) বীৰ্যলাভ (শরী রেক্রিয়মনঃস্থ নিরতিশয়সামর্থ্যমুপজায়তে ) ॥ ৩৮ ॥