পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ৪। সু ১১ } ] কৈবল্য পাদ । .دده অর্থাৎ বিষয়। এইরূপে হেতু, ফল, আশ্রয় ও আলম্বন দ্বারা সমস্ত বাসনা সংগৃহীত অর্থাৎ ব্যাপ্ত হয়, সুতরাং হেতু छैड़डिद्र অভাব হইলে তদাশ্রিত বাসনা সকলেরও সমুচ্ছেদ হয় ॥১১ ॥ so e মন্তব্য। চিত্তে যে কতরূপ সংস্কার থাকে তাহার সংখ্যা করা দূরের কথা কল্পনাও হয় না, এদিকে সংস্কারের সমূল উচ্ছেদ না হইলেও মুক্তি হয় না, এক একটা করিয়া সংস্কারের উচ্ছেদ কর এবং কুশাগ্র দ্বারা উত্তোলন করিয়া সমুদ্র-জল শেষ করা একই কথা । উক্তভাবে হয় না বলিয়া প্রকারান্তরে স্বত্রে বাসনার উচ্ছেদ বলা হইয়াছে মূলের বিনাশ হইলে আর কিছুই থাকিতে পারে না, জ্ঞানের দ্বারা বাসনার (সংস্কারের ) মূল অবিদ্যার বিনাশ হইলে আর কিছুই থাকিতে পারে না, পূৰ্ব্ব পূর্ব ভ্রম সংস্কারকেই অবিদ্যা বলে, এই অবিদ্যা হইতে—“অহং” এই অহঙ্কার জন্মে, তাহ হইতে “আমি অমুক” “আমার এই” ইত্যাদি ভ্ৰম জন্মে, এই ভ্রম হইতেই রাগ ও দ্বেষ হয়, তাহা হইতে পরের প্রতি উপকার ও অপকার দ্বারা ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম উৎপন্ন হয়; এই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম হইতে ভোগ জন্মে, ভোগ হইতে পুনৰ্ব্বার বাসনা জন্মে, এইরূপে সংসারচক্ৰ সৰ্ব্বদ ঘুরিয়া থাকে, মূল অবিদ্যা নষ্ট হইলেই সমস্ত বাসনা নষ্ট হয়। ক্রিয়াযোগ, অষ্টাঙ্গযোগ ও বিবেকখ্যাতি এই সকলের অনুষ্ঠানই অবিদ্যা নাশের কারণ। পুণ্য কি, পাপ কি এ বিষয় জানিতে সকলেরই ইচ্ছা হয়, শাস্ত্রে উক্ত আছে—“পুণ্যং পরোপকারেণ পাপঞ্চ পরপীড়নে,” ভাষ্যকারও বলিতেছেন “পরমনুগ্ৰহ্লাতু পহস্তি বা, তত: পুনর্ধৰ্ম্মধৰ্ম্মেী,” অর্থাৎ পরোপকার দ্বারা ধৰ্ম্ম ও পরাপকার দ্বারা অধৰ্ম্ম হয়। যদি চ টীকাকারগণ ভাষ্যের অনুগ্রহ ও উপঘাত { উপহস্তি ) শব্দে ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্মের জনক কৰ্ম্মমাত্রেরই উপলক্ষণ করিয়াছেন অর্থাৎ “পরমমুগৃহাতি” ইহার দ্বারা পুণ্যজনক সকল কৰ্ম্মই (তপস্তাদিও ) বুঝিতে হইবে, এবং “উপহস্তি” ইহা দ্বারা পাপ জনক সমস্ত কৰ্ম্মই বুঝিতে হইবে, তথাপি পুণ্য পাপের মূল ভিত্তি পরোপকার ও পরপীড়ন এ কথার বাধা নাই, যে ব্যক্তি চিত্তে পরোপকার ভাবিয়া কাজ করেন সেই ধাৰ্ম্মিক ॥ ১১ ॥ ভাষ্য। নাস্ত্যসতঃ সম্ভবঃ, ন চাস্তি সতে বিনাশঃ ইতি দ্রব্যত্বেন সস্তবন্ত্যঃ কথং নিবৰ্ত্তিন্যন্তে বাসনা ইতি ।