পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ৪ । সূ ১৬ । ] কৈবল্য পাদ । • ৩২১ গৃহীত হয় নাই সেই বস্তু কি আছে ? নাই বলিতে হইবে । পুনৰ্ব্বার চিত্তে অনুপস্থিত অর্থাৎ অজ্ঞাত এরূপ বস্তুও থাকে না বলিতে পারা যায় । এইরূপে পৃষ্ঠদেশ নাই (পৃষ্ঠদেশের জ্ঞান হয় না সুতরাং নাই ) বলিয়া উদরওঁ থাকিতে পারে না, কেননা উদরদেশ পৃষ্ঠদেশের ব্যাপ্ত, পৃষ্ঠদেশের জ্ঞান নাই, উদরের জ্ঞান আছে, এরূপ স্থলে উদরও নাই বলিতে পারি, ব্যাপকের অভাবে ব্যাপ্যের অভাব হয়। এইরূপ দোষ হয় বলিয়৷ বলিতে হইবে পদার্থ স্বতন্ত্র, উহা জ্ঞানের অধীন নহে, এই পদার্থ সমস্ত পুরুষের সাধারণ অর্থাৎ এক বস্তু সকলেরই বেদ্য হইতে পারে। চিত্ত সকলও স্বতন্ত্র অর্থাৎ পদার্থের অধীন নহে, এই চিত্ত প্রত্যেক পুরুষের ভোগের নিমিত্ত প্রবৃত্তিযুক্ত হয়, পদার্থ ও চিত্তের সম্বন্ধ বশতঃ উপলব্ধি ( জন্তজ্ঞান, বৃত্তি ) হয়, উহাই পুরুষের ভোগ ॥ ১৬। মন্তব্য । ভাস্থ্যে ভোগ্যত্বাৎ স্থখাদিবৎ” দৃষ্টান্ত প্রদর্শিত হইয়াছে, উহা সাংখ্যমতে হইতে পারে না, সাংখ্যমতে কেবল চিত্তই সুখাদির আশ্রয় নহে, বিষয়েও মুখাদি আছে, জ্ঞানের অভাব কালেও বিষয়ে মুখাদি থাকে, অতএব “রাগদ্বেষাদিবৎ” এইটাই সাংখ্য বৌদ্ধ উভয়সম্মত দৃষ্টান্ত হইতে পারে। . . - পূৰ্ব্ববাদী বৌদ্ধের মতে বিজ্ঞানের অতিরিক্ত স্বতন্ত্র চিত্ত নাই, সুতরাং তন্মতে স্বত্রের চিত্তশব্দে বিজ্ঞান (ক্ষণিক জ্ঞান, বৃত্তি) বুঝিতে হইৰে। চিত্ত যখন যে বিষয়ে বৃত্তি গ্রহণ করে তখনই যদি সেই বিষয় থাকে, সেই বিষয়াকারে চিত্তের বৃত্তি না হইলে যদি সেই বিষয় না থাকে, তবে চিত্ত সেই বিষয় ত্যাগ করিয়া অন্তবিষয়াকারে পরিণত হইলে সেই বিষয় থাকে কে বলিতে পারে ? , সেই বস্তু অন্য চিত্তেরও বিষয় হইতে পারে না, অথবা চিত্তে যদি কোনওরূপে বৃত্তি না থাকে, সৰ্ব্বথা নিরুদ্ধ হয়, তবে কোনও বিষয়ের সত্তা প্রমাণ হয় না। নিরুদ্ধ কথাটী বিবেক অভিপ্রায়ে বলা হইয়াছে, অর্থাৎ চিত্তে কোনওরূপ বৃত্তি না থাকিলে, কি বিবেক, কি পুরুষ, কি মোক্ষ, কিছুই থাকিতে পারে না । অতএব ওরূপ অসৎপক্ষ ত্যাগ করিয়া চিত্তের অতিরিক্ত পৃথক্ পদার্থ স্বীকার করাই শ্রেয়স্কর। পূৰ্ব্ববাদী মতে স্বতন্ত্র স্থিরচিত্ত নাই, ক্ষণিক বিজ্ঞান ধারাই চিত্ত, এই নিমিত্ত সিদ্ধান্তে বলা হইয়াছে “স্বতন্ত্রাণি চ চিত্তানি” অর্থাৎ চিত্তের সত্তা পদার্থ সত্তার অপেক্ষা করে না, উহা স্বতঃসিদ্ধ ॥ ১৬ ॥ -

    • § 2.