পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, [প ১। সূ৫। ] সমাধি পাদ | ఫిసి ভাস্যের ক্লেশহেতুকীঃ” পদের বহুব্রীহি সমাস করিয়া ক্লেশ হইয়াছে হেতু ষার অর্থাৎ ক্লেশ হইতে উৎপন্ন এইরূপ অর্থ হয়। তৎপুরুষ সমাসে ক্লেশের ; কারণ এইরূপ অর্থ বুঝিতে হইবে ; উভয়বিধ অর্থই সঙ্গত। অক্লিষ্ট্রবৃত্তির বিষয় খ্যাতি অর্থাৎ চিত্ত ও পুরুষের বিবেকজান, ইহা হইলে চিত্তের আর কার্য্য থাকে না, “বিবেকখ্যাতিপৰ্য্যন্তং জ্ঞেয়ং প্রকৃতিচেষ্টিতম্” অর্থাৎ বিবেকথ্যাতি পৰ্য্যন্তই গ্রকৃতির চেষ্টা, তখন অকঞ্চিৎকর চিত্ত আত্মার স্তায় নিগুৰ্ণভাবে কিছুকাল অবস্থান করিয়া পরিশেষে বিনষ্ট হইয়া যায়। - সচরাচর ক্লিষ্টবৃত্তিই দেখা যায়, এমত স্থলে অক্লিষ্টবৃত্তি কিরূপে জন্মিবে ? কিরূপেই বা বিবেকখ্যাতি রূপ স্বকাৰ্য্য করিতে সমর্থ হইবে ? চতুর্দিকে প্রবল শক্র পরিবেষ্টিত হীনবল ব্যাক্তির জীবনই সংশয় স্থল, কার্য্য করা ত’ অতি দূরের কথা। এই আশঙ্কায় ভাষ্যকার বলিয়াছেন ক্লিষ্টপ্রবাহ পতিত হইলেও অক্লিষ্ট্রবৃত্তির অক্লিষ্টতা নষ্ট হয় না, যে যাহা সে তাহাই থাকে, অক্লিষ্টবৃত্তি ক্লিষ্টের অন্তঃপাতী হইলেও ক্লিষ্ট হইয়া যায় না। ক্লিষ্টের ছিদ্রে (ফাক ) অক্লিষ্টবৃত্তি হইতে পারে । ক্লিষ্টবৃত্তিকে প্রবৃত্তিমাৰ্গ ও অক্লিষ্টবৃত্তিকে নিবৃত্তিমাৰ্গ বলা যাইতে পারে। ঘোর সংসারী বিষয়লোলুপের চিত্তেও কখন কখন বৈরাগ্য দেখা যায়, শ্মশানক্ষেত্রে অনেকেই ইহা অনুভব করিয়া থাকেন, ইহাকেই ভাষায় “রাবণের মোক্ষজ্ঞান” বলিয়া থাকে। এইট ক্লিষ্টের ছিদ্র, এই ছিদ্রে অক্লিষ্টবৃত্তি জন্মিতে পারে। পক্ষান্তরে উগ্রতপা ঋষিগণেরও সমাধিভ্রংশ শুনা যায়, তাপসশিরোমণি ভগবান বিশ্বামিত্ৰও মেনকা অঙ্গরার কুহকে পড়িয়া বিবেকহীন হইয়াছিলেন। এইটা অক্লিষ্টের ছিদ্র, ইহাতে ক্লিষ্টবৃত্তি প্রবল বেগে উৎপন্ন হয়। ক্লিষ্ট ও অক্লিষ্ট এই উভয় পক্ষে সংসারক্ষেত্রে ঘোরতর ংগ্রাম চলিতেছে, উপনিষদে ইহাকে রূপকভাবে দেবাসুরের যুদ্ধ বলিয়৷ , বর্ণনা আছে। এক পক্ষের ব্যুহরচন। শিথিল হইলেই অপর, পক্ষ প্রবল বেগে আক্রমণ করে। উভয়েরই সঞ্চার স্থল চিত্তভূমি, সেখানে খুকি। আপন আপন সৈন্ত বৃদ্ধি করিতে উভয়ই সচেষ্ট। ক্লিষ্ট পক্ষের সৈন্থসংগ্রহে বিশেষ কষ্ট হয় না, প্রকৃতিই উহা স্বষ্টি করিতেছে। অক্লিষ্ট পক্ষের সৈন্তম গ্রহে