পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দ আর উৎসাহ যেন উৎসারিত হয় নন্দার মুখ থেকে। সে মুখের = দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে সুনীলের মনে পড়ে যায়, এই সেদিন নন্দাকে পড়ানোর কাজটা সে "বেছে নিয়েছিল যে এ মেয়ে তাকে বিশেষ পাত্তা দেবে না, এর কাছ থেকে কোনরকম ন্যাকামির ঝনঝাট পোয়াবার আশঙ্কা নেই। হিসাব তার ভুল হয় নি। কিন্তু এতখানি প্ৰাণশক্তি যে নন্দার আছে এটা সে ধরতে পারে ঢ়ি আগে । নন্দার মধ্যেও কি রসকস নেই মায়ার মত, তাব মত ? কাজ আর দায়িত্বের মধ্যেই তারও জীবনের আনন্দ-বেদনার হিসাব নিকাশ ? অথবা মৃত স্বামী মনটা দখল করে আছে বলে ওদিক দিয়ে তার আর কোন আশা আকাজক্ষা স্বপ্ন নেই ? কিন্তু স্বামীর জন্য শোক নেই বলেই তো এদিকে আবার কুমারীও সেজে থাকে । নবীনের একখানা কবিতার বই বেরিয়েছে। চটি বই। ছোট আর মাঝারির আকারের গোটা বাইশ कविडी । আল্পনা সগর্বে বইখানা দাদার হাতে তুলে দেয়। বলে, কবিতা না পড়েই সমালোচনা করে একদিন ওকে চটিয়েছিলে, কবিতাগুলি পড়ে একটা সমালোচনা লেখে দিকি ভাল করে । আমায় লিখতে বলেছে ? আমি বলছি, ङ्गभि লেখে না । কল্পনা দিন দুই আগে প্ৰণবের সঙ্গে বাপের বাড়ী এসেছিল। প্ৰণব একদিন থেকেই চলে গিয়েছে। কল্পনার চেহারা দেখে তার শ্বশুরবাড়ীর উপর এবাড়ীর লোকেরা খুলী হতে পারে নি। δ δά