সূর্য্যের অধিকাংশ বাষ্পময় থাকিবে ততদিন শীতলতাপ্রবণ সূর্য্য ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হইয়া বাহিরের উত্তাপ-শক্তি সমভাবে রক্ষা করিবে। আমরা সূর্য্যের যত উত্তাপ পাই সর্ব্ব শুদ্ধ এখন সূর্য্য তাহার ২২৭০ ০০০০০০ গুণ উত্তাপ বৎসরে বিকীর্ণ করে, এবং সূর্য্য আদিম কাল হইতেই এইরূপ সম পরিমাণ উত্তাপ দিতেছে এই স্থির করিয়া দেখা যায়, এই সম পরিমাণ উত্তাপ দিবার নিমিত্ত প্রত্যেক শতাব্দীতে সূর্য্যের ৪ মাইল সঙ্কুচিত হয়। এই সকল জানিয়া গণনা দ্বারা অতীত কালের সূর্য্য ব্যাস স্থির করা আমাদের পক্ষে কঠিন নহে। এই নিয়মানুসারে ১০০ বৎসুর পূর্বে সূর্য্য ৪ মাইল বড় ছিল, দুশ বৎসরে ৮ মাইল, এই রূপে এক সময়ে সূর্য্য-বাষ্প বুধের কক্ষ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, তৎপূর্বে পৃথিবীর কক্ষ পর্যন্ত এবং আরো পূর্বে সমস্ত সৌরজগৎময় ব্যাপ্ত থাকিবার কথা। এইরূপে আরোহ প্রাণী অবলম্বন করিয়াও আধুনিক বৈজ্ঞানিকেরা বিশেষে লাপ্লাসের কল্পিত জগৎব্যাপী সূর্য্যের বাম্পাবরণেই উভীর্ণ হইয়াছেন।
সুর্য্য-পরিত্যক্ত বাষ্পীয়-চক্র ক্রমে একটা গোলক রূপ ধারণ করিয়া পরে কিরূপে গ্রহ হইয়া দাড়ায় এই বার দেখা যাউক। সেই বাস্পস্ময় গোলকটি সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরিতে ঘুরিতে ক্রমে শীতল হইয়া ঘন অর্থ তরল হইতে থাকে। তরল গোলক ঘুরিলে যন্ত্রবিদ্যার নিয়মানুসারে