পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী ব্যাকুল হইল ; কিন্তু পশুদেহের বন্ধন অতিক্ৰম করিয়া ভগবৎ সাধনা করিতে সে অসমর্থ। একদিন মৃগরূপী মহাত্মা উপবাস শীর্ণ দেহে গণ্ডকীর তীরে আসিয়া দাড়াইলেন । সেই সময়ে সহসা তিনি হৃদয়ে ব্যথার সঙ্গে নবজন্মের আবির্ভাব উপলব্ধি করিলেন ; পশ্চাৎ হইতে এমন সময় কে কোমলস্নিগ্ধ করে তঁহার গাত্ৰস্পৰ্শ করিল। মৃগ সেই স্পর্শ সুখে বিহবল হইয়া আনন্দাশ্র বর্ষণ করিতে লাগিল। সে স্পর্শ পুলহ ঋষিরা। আশীৰ্ব্বাণী উচ্চারণ কালে ঋষির করাঙ্গুলী উৰ্দ্ধে উথিত হইয়াছিল, কৃতজ্ঞ মৃগ ঋষির মুখপানে সাশ্রনেত্ৰ বদ্ধ করিয়া ভূমিতলে লুষ্ঠিত হইয়া পড়িল-এবং সেই সুখ-প্ৰদোষকালে গণ্ডকীর তীরে দেহ রক্ষা করিল। ٹی দীর্ঘ-সুদীর্ঘ কালের পদ্ম, আবার মনুষ্যজন্ম । মনুষ্যজন্ম কি ?-- উহা পিঞ্জরাবদ্ধ পক্ষীর পক্ষে মুক্তির আস্বাদন, ক্ষুদ্র সরিৎ অতিক্রম করিয়া মহাসমুদ্রে পতন। দৈহিক সুখের ক্ষুদ্র গণ্ডী অতিক্ৰম করিয়া আধ্যাত্মিক আনন্দে পৌছিবার শক্তিলাভ । উহা প্ৰণব উচ্চারণের অধিকার-প্ৰাপ্তির শুভ কাল। অনন্ত বিমানের ন্যায়, সীমাহীন সমুদ্রের দ্যায় ব্ৰহ্মানন্দের অপ্রমেয় ক্ষেত্র মানুষের সম্মুখে পড়িয়া আছে। যে ক্ষুদ্র সুখ দুঃখ লইয়া রহিল-সে তাহার জন্মের গৌরব যুঝিল না, রাজাধিরাজের উত্তরাধিকারী সামান্য কুটিরবাসী হইয়া রহিল-সে তাহার দাবী দাওয়া ছাড়িয়া দিল । gD BBDBD BBBD DBDBDBD S DBDBDB DBB DBDDDB BDDiYS Y S 8