পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা তখন অপরাহ্র-চম্পক-নগরের লোক গাঙ্গুড়ের কুলে ধরে না, লোকে লোকারণ্য হইয়াছে। তাহদের চক্ষু অশ্রুভারাক্রান্ত ও তাহারা গদগদকণ্ঠ ; তাহারা বলিতেছে, “বুদ্ধিহীন তরুণী জননী, আমাদিগকে DBDD DDDBDu DSSS BBDBBBDD DDD D DDDSBDBDB uBBDBD BDD তোমার সন্তান, আমাদিগকে ছাড়িয়া যাইও না।” সনকা উচ্চৈঃস্বরে কঁাদিয়া বলিতেছেন, “আমার সাবিত্রী, ঘরে ফিরিয়া এস. আমি লখার শোক তোমাকে দেখিয়া ভুলিব।” গ্রামান্তর হইতে লোকেরা আসিয়া দেখিতেছে-স্বামীর শবের পার্শ্বে স্থির সৌদামিনীর মত সাধবী বসিয়া আছেন, গাঙ্গুড়ের জলে ভেলা ভাসিয়া যাইতেছে, লোকে বলিতেছে, “আমরা সীতা সাবিত্রীর কথা পুরাণে শুনিয়াছি। ঐ দেখ, তঁাদের একজন চম্পক-নগরে প্রত্যক্ষ হইয়াছেন ।” গাঙ্গুড়ের তরঙ্গাঘাতে ভাসিয়া ভাসিয়া ভেলাখানি যাইতেছে ; বেহুল ভাবিতেছেন, যে দেশে মৃত্যু নাই, সেই দেশ হইতে তিনি স্বামীর জীবন আনয়ন করিবেন । • শোকোন্মত্তা মাতা সনক কোনক্রমেই নদীতীর ছাড়েন না, ধূলায় পড়িয়া আছাড়ি পাছাড়ি খাইতে লাগিলেন । বেহুলা ডাকিয়া বলিলেন, “বাসর-ধরে কড়ার তেলে দীপ জ্বলিতেছে, সেই কক্ষটি অর্গল-বদ্ধ করিয়া রাখিবেন । আমার স্বামীর প্রাণ উদ্ধার করিয়া ফিরিয়া আসিয়া দেখিব, সে দীপ নিবে নাই। বাসর-ঘরে হেম থালায় যে ভাত রাধিয়া রাখিয়াছি, তাহা দাড়িম গাছের নীচে পুতিয়া রাখিবেন।” চারিদিক হইতে শত শত শোকাৰ্ত্ত নির নারী বেহুলাকে ডাকিয়া পুনঃ পুনঃ বলিতে লাগিল, “মা, তোমার মুখ দেখিয়া আমাদের প্রাণ ফাটিয়া যাইতেছে, -অভাগিনী মা ফিরিয়া এস।” বেহুল সজলনোত্রে যুক্ত করে এই মাত্র 多岁