পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

coीब्रांबियी বলিলেন, “তোমরা আশীৰ্ব্বাদ করিও যেন আমি স্বামীকে পুনর্জীবিত করিতে পারি ” দেখিতে দেখিতে বেহুলা, শিব ও ভেলা নদীর তরঙ্গে সুদূরে চলিয়া গেল । এই মহাশোক-কথা চতুর্দিকে রাষ্ট্র হইয়া গেল। একাকিনী অবোধ বালিকা মকর-কুন্তীর-সঙ্কুল নদী তরঙ্গে স্বামীর শািব লইয়া ভাসিয়া গিয়াছে। যাহারা এ দৃশ্য দেখিয়াছিল, তাহারা এ কথা কঁাদিতে কঁাদিতে অপর সকলকে বলিল ; যাহারা শুনিল, তাহার কঁাদিয়া আকুল হইল। চম্পকনগরবাসীরা সেই গাঙ্গুড়-নদীর জল গঙ্গাজল অপেক্ষাও পবিত্ৰ মনে করিল--এই নদী দিয়া সতীলক্ষ্মী ভাসিয়া গিয়াছেন, সেই নদীর তীরের মুক্তিক তাহারা পবিত্র-জ্ঞানে পুটুলিতে বাধিয়া দেব-বিগ্রহের সঙ্গে এক স্থানে রাখিয়া দিল । সনক লখা ও পুত্রবধুর কথা মনে করিয়া দিনরাত্রি মূচ্ছিত অবস্থায় পড়িয়া থাকিতেন। তঁাহাকে সাস্তুনা দিবার জন্য সদাগরও গৃহে একটি বার পদাৰ্পণ করেন না । সকলে বলিত, সদাগর পাগল হইয়া বনে বনে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। মূৰ্ছা ভঙ্গের পরে সনক এ কথা শুনিলে আবার মূচ্ছিতা হইতেন । డి কিন্তু সদাগর পাগল হন নাই । রক্ত পট্টবস্ত্ৰ পরিয়া রুদ্রাক্ষের মালা ধারণা করিয়া, সদাগর সাতালী-পৰ্ব্বতের বনে বনে ভ্ৰমণ করিতেন । সন্ধ্যাকালে যখন পৰ্ব্বতের বন্ধুর শীর্ষ ভেদ করিয়া ছিন্নভিন্ন মেঘপংক্তি 8及