পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী করিতে মুহুৰ্ত্ত কাল চলিয়া যাইত, সেই মুহুৰ্ত্ত পরে আবার তাহার চক্ষু হইতে বিন্দু বিন্দু অশ্রু পতিত হইত। পুনরায় আত্মস্থ হইয়া সদাগর শঙ্করস্তব পাঠ করিতেন, তখন উচ্চকণ্ঠোচ্চারিত “হর’ ‘হর’ শব্দে সেই *ांश्ट्र कॅश्श्याि छेठेिऊ । ܠܗ এদিকে নিছনিনগরে সংবাদ পৌছিল, গাঙ্গুড়-নদীতে বেহুলা ভেলায় ভাসিয়া যাইতেছে। সায়-বেণের বাড়ীতে এ কথা কেহ বলিল না ; কিন্তু অমলার হৃদয় অত্যন্ত বিচলিত হইয়া উঠিল। তঁহার গৃহে বসিয়া একটা কাক কৰ্কশকণ্ঠে ডাকিতে থাকে, অমলা মনে ভাবেন, কাক কি দুঃখের কথা বলিতেছে ; বেহুলার কথা মনে হইলে দীরবিগলিত ধারায় তাহার চক্ষু ভাসিয়া যায়, “তবে কি আমার বেহুলার কোন অমঙ্গল হইল ?” কিন্তু একদিন কে বলিয়া গেল, বেহুলার সংবাদ ভাল নহে, তোমরা লোক পাঠাইয়া তত্ত্ব লও ; এই কথায় অমল উতলা হইয়া পড়িলেন। জ্যেষ্ঠপুত্র হরিসাধু তাহার অপর দুই ভ্ৰাতা সুবল ও শ্ৰীরাম সাধুকে লইয়া চম্পকনগরোদেশে মাত্ৰা করিলেন। তাহারা বিবিধ মিষ্টান্ন, বিচিত্র পরিচ্ছদ ও অপরাপর উপঢৌকন লইয়া গাজুড়ের তৃতীীরপথে যাইতে লাগিলেন । পথে যাইতে যাইতে শত শত লোক বলিতে লাগিল, “তোমাদের সাধের কাঞ্চন-প্রতিমা বেহুলা, মৃতদেহ লইয়া ভেলায় ভাসিতে ভাসিতে আসিতেছে।” শুনিয়া তিন ভ্রাতার মস্তকে যেন বজপাত হইল। তাহারা কিছুদূর অগ্রসর হইতে না হইতে দেখিতে পাইলেন, সজল নয়না বেহুলা কলায়