>8" ১৬০২-৩ খৃঃ অব্দে যে রামচন্দ্রের বিবাহ হয়, এবং প্রতাপ তাহার রাজ্য ও সমাজ অধিকারের জন্ত যে সে সময়ে তাহার হত্যার চেষ্টা করিয়াছিলেন, ইহাই স্থির হইয়া থাকে। রামচন্দ্রের হত্যার চেষ্টা যে প্রতাপের আর এক নিষ্ঠুরতার নিদর্শন, তাহাতে সন্দেহ নাই। সে সময়ে তাহার হৃদয় এত কঠোর হইয়া উঠিয়ছিল যে, তিনি আপনার স্নেহময়ী কস্তাকে পর্যন্ত বিধবা করিতে উষ্ঠত হইয়াছিলেন। উত্তরকালে প্রতাপের নি, বতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেই ছিল। এই জন্ত তিনি উচ্চ লক্ষ্য ভ্ৰষ্ট হইয়া কেবল প্রভুত্ব ও রাজ্য বিস্তৃতির আকাঙ্ক্ষায় আপনার হৃদয় পরিপূর্ণ করিয়া তুলিয়াছিলেন । রামচন্দ্র যশোর হইতে প্রস্থান করিয়া অল্পকালের মধ্যেই বাকল পুনবধিকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তিনি স্বীয় পত্নী বিন্দুমতীকে আনয়ন করিতে কোনরূপ চেষ্টা করেন নাই। কয়েক বৎসর পরে, সম্ভবতঃ প্রতাপের পতনের পর বিন্দুমতী নিজেই নৌকারোহণে বাকলার গমন করেন। তিনি রাজধানীর অনতিদূরে অনেক দিন পর্যন্ত নৌকাতে অবস্থিতি করিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ তিনি এইরূপ মনে করিয়াছিলেন যে, রাজ রামচন্দ্র তাহার আগমন সংবাদ পাইয়া, তাহাকে সমাদরে রাজধানীতে লইয়া যাইবেন । যে স্থানে তিনি অবস্থিতি করিতেন, তাহার ও র্তাহার সঙ্গী লোক জনের ব্যবহারোপযোগী দ্রব্যের বিক্রয়ের জন্য সপ্তাহে দুইবার করিয়া তথায় হাট বসিত। সেই স্থান কালে “বৌঠাকুরাণীর হাট” নামে প্রসিদ্ধ হয়, অদ্যপি তাহা সেই নামেই অভিহিত হইয়া থাকে । * তাহার পর তিনি তথা হইতে অন্ত একটি স্থানে উপস্থিত হইয়া একটি বৃহৎ দীঘি খনন করাইতে আরম্ভ করেন । তাহার এই সমস্ত কীৰ্ত্তির কথা রাজার কর্ণগোচর হইলে রাজা বৌঠাকুরাণীর হাট।
- চন্দ্রম্বীপের রাজবংশ দেখ ।