পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぬb> উপরোক্ত স্থানগুলি সমস্তই যশোর বা ঈশ্বরীপুরের নিকট অবস্থিত। তদ্ব্যতীত আরও অনেক স্থানে প্রতাপাদিত্য দুর্গাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বড়িশা বেহালায় রায়গড় নামে একটি দুর্গের ভগ্নাবশেষ আছে, তাহ বসন্তরায়ের গঠিত বলিয়া কথিত হয়। তথায় কমলা, বিমল নামে দুইটি বৃহৎ পুষ্করিণী আছে । উক্ত রায়গড় দুর্গ বসন্তরায়ের হত্যার পর প্রতাপাদিত্যের অধিকৃত হইয়াছিল। প্রতাপ তাহার অনেক সংস্কারাদিও করিয়াছিলেন । অদ্যাপি রায়গড় দুর্গের চিহ্ন বিদ্যমান আছে। এই রায়গড় দুর্গ যশোর রাজ্যের পশ্চিম-উত্তর সীমায় অবস্থিত ছিল। যশোররাজ্যমধ্যে শত্র প্রবেশ করিবার ইচ্ছা করিলে প্রথমে এই স্থান হইতে বাধা প্রাপ্ত হইত। রায়গড়ের ছায় জগদ্দলেও একটি দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। জগদল চন্দননগরের পরপারে ভাগীরথীতীরে অবস্থিত । জগদলের দুর্গ প্রতাপদিত্য কর্তৃকই নিৰ্ম্মিত হয়। ইহাও যশোর রাজ্যের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত ছিল। অদ্যপি তথায় পরিথাদির চিহ্ন বিদ্যমান আছে । ইহার নিকট নৈহাটতে রাজা প্রতাপদিত্যের একটি আবাসও নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তথায় গঙ্গাবাসের জন্ত সময়ে সময়ে যশোরের রাজপরিররিবর্গ সমাগত হইতেন । এইরূপে আরও কোন কোন স্থানে প্রতাপাদিত্যের কীৰ্ত্তিচিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। আমরা প্রতাপাদিত্য ও অন্তান্ত ভুইয়াদিগের যথাসাধ্য বিবরণ প্রদান করিলাম। ইহা হইতে সাধারণে বুঝিতে পরিবেন যে, তাহার স্বাধীন. ভাবে আপনাদের বাহুবলের পরিচয় দিয়া কিরূপে ভুইয়াগণের রাজ নৈতিক ভ্ৰম । বাঙ্গালীনামের দুর্ণাম মোচন করিয়াছিলেন। অবশু ভূইয়াগণ যে স্বাধীনতার রসাস্বাদ করিয়া আপনদিগকে কৃতাৰ্থ মনেকরিয়াছিলেন ও একেবারে অধীনতার শৃঙ্খল ছেদন রায়গড় । জগদল ও নৈহাটী ।