বুড় বয়সের কথা । ృ(గ్రీ যেখানে আগে ভাল বসার প্রত্যtশা করিতে, এখন সেখানে ভূমি কেবল ভয় বা ভক্তির পাত্র। যে পুত্ৰ, তোমার যৌবনকালে, তাহার শৈশবকালে, তোমার সহিত এক শয্যায় শয়ন করিয়াও, অৰ্দ্ধনিদ্রিত অবস্থাতেই, ক্ষুদ্র হস্তপ্রসারণ করিয়া, তোমার অনুসন্ধান করত,সে এখন লোকমুখে সম্বাদ লয়, পিতা কেমন আছেন। পরের ছেলে, সুন্দর দেখিয়া যাহাকে কোলে তুলিয়া, তুমি আদর করিয়াছিলে, সে এখন কালক্রমে লব্ধবয়ঃ কর্কশকান্তি হয় ত মহাপাপিষ্ঠ,পৃথিবীর পাপস্রোত বাড়াইতেছে, হয় ত, তোমারই দ্বেষক—তুমি কেবল কাদিয়া বলিতে পায়, “ইহাকে আমি কোলে পিঠে করিয়ছি।” তুমি যাহাকে কোলে বসাইয়া, ক, খ, শিখাইয়াছিলে, সে হয় ত এখন লব্ধপ্রতিষ্ঠ পণ্ডিত,তোমার মূখন্ত দেখিয়া মনে মনে উপহাস করে। মহাকে স্থালয় বেতন দিয়া ভূমি মানুষ করিয়াছিলে, সে হয় ত এখন তোমারে টাকা ধার দিয়া, তোমারই কাছে সুদ খায় । তুমি বাহাকে শিথাইতে, হয় ত সেই তোমায় শিথাইতেছে। যে তোমার অগ্রাহ্য ছিল, তুমি আজি তার অগ্রাহ্য। আর অর ণ্যের বাকি কি ? অন্তর্জগৎ ছাড়িয়া, বহিজগতেও এইরূপ দেখিবে। যেখানে তুমি স্বহস্তে পুষ্পোদান নিৰ্ম্মাণ করিয়ছিলে-বাছিয়া বাছিয়া, গোলাপ,চন্দ্রমল্লিক, ডালিয়া, বিশ্লোনিয়া, সাইপ্রেস অরকেরিয়া আনিয়া পুতিয়াছিলে, পাত্রহস্তে স্বয়ং জলসিঞ্চন করিয়াছিলে, সেখানে দেখিবে, ছোলা মটয়ের চাস,—হারাধন পোদ, গামছা কাদে, মোটা মোটা বলদ লইয়া, নিৰ্ব্বিন্ধে লাঙ্গল দিতেছে--সে লাঙ্গলের ফাল তোমার হৃদয়মধ্যে প্রবেশ করিতেছে । যে অট্টালিকা তুমি যৌবনে, অনেক সাধ মনে মনে য়াধিয়া, অনেক সাধ পুরাইয়া, যত্বে নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলে,যাহতে পালঙ্ক পাড়িয়া
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬২
অবয়ব