( 8 বুড় বয়সের কথা । নয়নে নয়নে অধরে অধরে মিলাইয়া, ইহজীবনের অনশ্বর প্রখয়ের প্রথম পবিত্র সম্ভামণ করিরাছিলে, হয় ত দেখিবে স্কে श्रृंश्ल्ल हेडेरु मरुल দামুঘোষের আস্তাবলের সুরকির জন্য চূর্ণ হইতেছে ; সে পালঙ্কের ভগ্নাংশ লইয়া কৈলাশীর মা পাচিক, ভাতের ছড়িতে জাল দিতেছে—আর অরণ্যের বাকি কি ? সকল জালার উপর জালা, আমি সেই যৌবনে, যাহাকে মুন্দর দেখিয়াছিলাম—এখন সে কুৎসিত। আমার প্ৰিয়বন্ধু দামুমিত্র, যৌবনের রূপে স্ফীতকণ্ঠ কপোতের ন্যার সগৰ্ব্বে বেড়াইত,-কত মাগী গঙ্গার ঘাটে, স্নানকালে তাহাকে দেখিয় নমঃশিবার নমঃ বলিয়া ফুল দিতে, “দাস্তু মিত্রায় নমঃ’ বলিয়া ফুল দিয়াছে। এখন সেই দালুমিত্রের শুষ্ক কণ্ঠ, পলিত কেশ, দস্তুহীন, লোলচৰ্ম্ম, শীর্ণ কায়া। দামুর, একটা ব্ৰাণ্ডি আর তিনটা মুরগী জলপানের মধ্যে ছিল,—এখন দাস্থ নামাবলীর ভরে কাতর,পাতে মাছের ঝোল দিলে,পাত মুছিয়া ফেলে। আর অরণ্যের বাকি কি ? গদার মাকে দেখ। ষখন আমার সেই পুষ্পোদ্যানে, তরদিণী নামে যুবতী ফুল চুরি করিতে যাইত, মনে হইত নন্দন কানন হইতে সচল সপুষ্প পারিজাত বৃক্ষ আনিয়া কে ছাড়িয়া দিয়াছে। তাহার অলকদাম লইয়। উদ্যান বায়ু ক্রীড়া করিত, তাহার অঞ্চলে কাটা বিধিস্থ দিয়া, গোলাপগাছ রসকেলি করিত। আর আজি গদার মাকে দেখ। বকবিকি করিতে করিতে চাল ঝাড়িতেছে—মলিনবসনা, বিকটদশনা, তীব্ৰুরসন, -দীর্ঘদিণী, কৃষ্ণাঙ্গিনী, কৃশাঙ্গিনী,-লোলচৰ্ম্ম, পলিত কেশ, aকবাহু, কর্কশ কণ্ঠ । এই সেই তরঙ্গিণী—আর অরণ্যের ৰাকি কি ? ° ভয়ে, স্থির, বনে যাওয়া হইবে না। তবে কি করিৰ— ·
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬৩
অবয়ব