পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अdद ܠܬܬ অভিসারিকা রাধা কৃষ্ণের নিকট উপস্থিত হইলেন, উভয়ের মিলন হইল। মিলনান্তর সম্মেভাগ, সক্ষেভােগান্তর কৃষ্ণ কর্তৃক রাধার বেশবিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রন্থের সমাপিত। দেখা যাইতেছে, এ কাব্যের মােখ্য বাণিত বিষয় রাধাকৃষ্ণের রােপ ; তাঁহাদের পরস্পরের বিরহে পরস্পরের দঃখপ্রকাশ ; মিলিত হইলে পরস্পরে কথোপকথন অর্থাৎ কেবলমাত্র রাধাকৃষ্ণের দেহের বণনা ও তাঁহাদের মনোগত প্ৰেমভাবের বর্ণনা। এ ছাড়া আনষঙ্গিকরপে যমনাতনীর কুঞ্জবন বসন্তকাল রাধার সখী ও অন্যান্য গোপিনীগণের কথাও বলা হইয়াছে। গ্রন্থারম্ভে গ্রন্থকারের আত্মপরিচয় ও ঈশবিরের বন্দনা বাদ দিলে দেখা যায়, রাধা ও কৃষ্ণের কেলি ব্যতীত সবগািমতাপাতালের অন্য কোনো বিষয়, কোনোরাপ ধম নৈতিক কিংবা নৈতিক মতামত ইত্যাদি কিছই গীতগোবিন্দে স্থান লাভ করে নাই। জয়দেবের মস্তিক্ষকপ্রসতে কোনো চিন্তা ইহাতে সন্নিবেশিত হয় নাই। ইহা আমার নিকট অত্যন্ত সখের বিষয় বলিয়া মনে হইতেছে, কারণ কবির ক্ষমতার পরিসর যত সংক্ষিপত হয় ও তাঁহার কল্পনা যত সংকীর্ণ পরিধির মধ্যে বদ্ধ থাকে, ক্ষদ্রশক্তিসম্পন্ন সমালোচকের পক্ষে সমালোচনা করাটা তর্তই সহজসাধ্য হইয়া উঠে। আমি এখন জয়দেবে যাহা নাই তাহার কথা ছাড়িয়া দিয়া তাহাতে যাহা আছে তাহার বিষয়ই আলোচনা করিব। জয়দেবের কবিত্বশক্তির পরিমাণ সম্পবন্ধে মন্তব্য প্রকাশ করিবার পাবে আমি তাঁহার বর্ণিত প্রেম কিরুপ ও তাঁহার বর্ণিত সস্ত্রীপরিষের রােপই বা কিরাপ, তাহাই যথার্থ রাপে নিরাপণ করিতে চেণ্টা পাইতেছি। মনের ভাবের প্রকাশ কথায় ও কাযে । সাধারণ গোপিনীগণ, রাধা ও কৃষ্ণ, ইহারা প্রেম শব্দের অর্থে কি বাঝেন তাহা তাঁহাদের কথায় ও কাযে বিশেষরাপে বাঝা যায়। গোপিনীগণ কৃষ্ণের কামোদ্দীপত মাখের উপরে সতৃষ্ণনয়নে চাহিয়া কানে-কানে কথা কহিবার ছলে তাঁহার মািখচুম্বন করিয়া, পীনপয়োধরভারভরে তাঁহাকে আলিঙ্গন করিয়া, ‘কেলি কলাকুতুকেন’ কুঞ্জবনে প্রবেশের নিমিত্ত তাঁহার পরিহিত দকুল ধরিয়া আকর্ষণ করিয়া তাঁহার প্রতি স্বীয় প্রেমের পরিচয় দিয়াছেন। রাধা কৃষ্ণের বিরহে কাতর হইয়া সখীকে বলিলেন সখি হে কেশিমথনমদারম রময় ময়া সহ মদন মনোরথভাবিতয়া সবিকারম। তাহার পর কৃষ্ণের সহিত মিলন হইলে কৃষ্ণ কি করিবেন এবং তাঁহার অবস্থা কিরাপ হইবে, রাধা সে বিষয়ে সখীকে একটি দীঘ বক্ততা করিলেন। সে বক্ততাটি ইচ্ছা! সত্ত্বেও এ সভায় আপনাদিগকে পড়িয়া শনাইতে পারিলাম না। নিজেরা পড়িয়া দেখিলেই তাহাতে রাধা বিরহ ও মিলন কিভাবে দেখেন তাহা অতি সপ্যািটই বঝিতে পরিবেন। সখী কৃষ্ণের নিকট রাধার বিরহ-অবস্থা জানাইয়া বলিতেছেন, রাধা ব্লতামিব তব পরিরক্ষােভস খায় করে।াতি কুস্যামশায়নীয়ম। আরো নানা কথা বললেন, ফলে দাঁড়াইল রাধার অবস্থা অতি শোচনীয় ; তিনি