পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Tito ost Qܒܬܠܬ নগর পড়িলে দেবালয় কি এড়ায়। বিস্তর ধামিক লোক ঠেকে গেল দায়৷ নদীয়া প্রভৃতি চারি সমাজের পতি। কৃষ্ণচন্দ্ৰ মহারাজ শািন্ধশান্তমতি৷ মহাবিদজওগ তীরে ধরে লয়ে যায়। नछब्राना दgव्न बान्न व्याक फ्रेका bान्न । निर्थि मिला नई ब्राछा लिव वाद्ध काक। সাজোয়াল হইল সািজন সব ভক্ষ ৷ বগিতে লাঠিল কত কত বা সাজন। নানামতে রাজার প্রজার গেল ধন ৷ উপরোক্ত বৰ্ণনা কাব্য নয়, খটি ইতিহাস। আলিবদি খাঁ যে প্ৰজা-পীড়ন করে টাকা আদায় করেছিলেন, সে বগিরি রাজাকে চৌথ দেবার জন্য। এক দিকে দিল্লির বাদশাকে, আর-এক দিকে বগিরি রাজাকে কর দিতে না পারলে তাঁর নবাবি থাকে না, কাজেই বাংলার প্রজাকে সবসবান্ত করতে তিনি বাধ্য হলেন। এখানে একটি কথার মানে বলে দিই। সাজোয়াল শব্দের অর্থ সেই সরকারি কর্মচারী, যে সরকারের তরফ থেকে খাসে প্রজার কাছ থেকে খাজনা আদায় করে। এই সজন সাজোয়ালটি যে কে তা জানি নে, কিন্তু সেকালে অমান সজন দেদার মিলত। এবং এই-সব সািজনের হাত থেকে প্রজাকে রক্ষা করা জমিদারের সঙ্গে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার অন্যতম কারণ । ভারতচন্দ্রের কবিতার এতটা অংশ উদধত করে দিতে এই কারণে বাধ্য হলাম যে, অন্নদামঙ্গল আজকাল কেউ পড়ে না, সকলে পড়ে মেঘনাদবধ। বাংলার চেয়ে লণ্ডকা একালে আমাদের ঢের বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ১৭৫৬ খসেন্টাব্দে আলিবদি খাঁর মাতৃত্যু হয়। তখন বাংলার তন্তে বসলেন সিরাজউদ্দৌলা। এর শাসন যে দেশের লোকের কাছে কতদার প্রিয় হয়েছিল, তার প্রমাণ বছর না পেরতেই বাংলায় ঘটল ।রাণীবিপ্লব, যে ঘটনায় সিরাজউদ্দৌলা মাতামহের গদি ও পৈত্রিক প্রাণ, দইই হারালেন। একে আমি রাষ্ট্ৰবিপ্লব বলছি, কেননা জন কোম্পানির সেকালের কতাব্যক্তিরা সকলেই এ ব্যাপারকে রেভলিউশন বলেই উল্লেখ করেছেন। পলাশীর যন্ধ জেতবার ফলে কোম্পানি বাহাদর বাংলার রাজগদি পান নি, পেয়েছিলেন শািন্ধ চব্বিশ-পরগনার জমিদারিস্বত্ব। ১৭৫৭ থেকে ১৭৬o পৰ্যন্ত মিরজাফরের আমল। এ তিন বৎসর গোলমালে কেটে গেল। ফলে বাংলার অরাজকতা দিনের পর দিন শােধ বেড়েই চলল। তার পর নবাব হলেন মিরকাশিম। তাঁর নবাবির মেয়াদ ছিল পাঁচ বৎসর। এই পাঁচ বৎসর ধরে তিনি বাংলার প্রজার রক্তশোষণ করলেন। কি উপায়ে তা বলছি। রাজা টোডরমলের সময় বাংলার প্রজার আসল জমা সিথর হয়। এ জমাকে ল্যান্ড ট্যাক্স বলা যেতে পারে। এ জমাবন্ধি কোনো নবাব করেন নি। আসল জমা স্থির রেখে নবাবের পর নবাব শােধ আবওয়াবের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়িয়ে চললেন। এই আবওয়াবকে ceSS বলা যেতে পারে। মিরকাশিমের হাতে এই আবওয়াব