পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«εν প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড ছিল। প্রকাশ সেখানে আসিয়া দাড়াইল। চারিদিকে লোকের ভিড়। ভিতরে গ্যাসের আলোর সাম্নে একজন লোক বেহালা বাজাইতেছে। কৃষ্ণের পোষাকে একটি বালক নাচিয়া নাচিয়া গান গাহিতেছিল। * ইতর লোকের ভিড়। ভদ্রবেশধারী প্রকাশকে দেখিয়া বেহালা-ওয়ালা উৎসাহের সহিত বাজাইতে লাগিল। তারপর বাজনা শেষ হইলে মাথার পাগড়ি খুলিয়া মেলিয়া ধরিল। প্রকাশ ধীরে ধীরে মণিব্যাগটি পকেট হইতে টানিয়া বাহির করিল, খুলিয়া ভিতর হইতে একটি ক্ষুদ্র মুদ্রা বাছিয়া তুলিল। তারপর কি ভাবিয়া মুহূৰ্ত্তমধ্যে ব্যাগটি উজাড় করিয়া ঢালিয়া দিল। একটি টাকা আর কয়েকটি সিকি দুয়ানি বস্ত্রখণ্ডের উপর গড়াইয়া পড়িল । বেহালাওয়ালা সেলাম দিয়া সরিয়া গেল । দর্শকেরা ৰিক্ষিতনেত্রে তাহার পানে চাহিয়াছিল। একজন কহিল, -পাগল। প্রকাশ গঙ্গার রাস্ত ধরিল। তীরের সন্নিকটে পোর্টকমিশনারের রেল পার হইয়া রাস্তাটি রথতলার ঘাটে গিয়া পড়িয়াছে। প্রকাশ রেল-রাস্তার পাশে আসিয়া দাড়াইল । দুরে একটা ইঞ্জিন ঝক ঝক করিতে করিতে অগ্রসর झझे८ठझेिण । একজন পয়েন্টসম্যান পিছন হইতে তাহার গলায় বাকি দিয়া কহিল,--আঁখ নেছি হায় ? এঞ্জিন দেখতেহও রেছি ? তখন গঙ্গার ঘাট নিরালা হইয়াছে। স্নানার্থীর ভিড় নাই। শুধু দুই একজন শ্রমিক কৰ্ম্মাবসানে ঘাটে নামিয়া ডুব দিয়া চলিয়া যাইতেছিল। যে-স্থানে বসিয়া ঘাটের উড়িয়া পাও চন্দনের ছাপ আঁকিয়া দেয় তাহারি নীচে কোন নিরাশ্রয় হতভাগ্য অধোরে পড়িয়া ঘুমাইতেছে। প্রকাশ ঘাটের কোণে একটি বাধানে স্থানে বসিয়া পড়িল। পশ্চিমে নদীর পরপারে সারি সারি কলম্বর। *ष्éन उ९म दक इहेब्रॉ c१८छ् । करग्रकर्छ नैौ८°ांबछ्ग জানাল দিয়া আলোর রশ্মিগুলি ঢেউ-এর মাথায় মাথার পড়িয়া চিকমিক করিতেছে। উপরে জগণিত তারা ওচ্ছে ७tछह बलिएडtझ् । नtडांभ७ण मिथब्र, निwन । निरब्र তাহার দিকে অগ্রসর হইয়া গঙ্গার উচ্ছ্বলিত জলরাশি কল্লোল তুলিয়৷ নৃত্য করিতে করিতে শান-ধাধান পাড়ের উপর আছড়াইয়া পড়িতেছিল। এ কি বিস্ময় । ঐ অনন্ত নীরবতার তলে এ কিসের কোলাহল ? ঐ নিৰ্ব্বিকার সুপ্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের চন্দ্ৰাতপচ্ছায়ে এ কিসের বুঝাযুঝি ? এ কোন সত্য-মিথ্যার, আঁধারআলোকের মুপ্তি-জাগরণের দ্বন্দ্ব ? প্রকাশ ভুলিয়া গেল—সেই জীবনব্যাপী দীর্ঘ যন্ত্রণা। সে ভুলিয়া গেল—তাহার শূন্ত বর্তমান আর অন্ধকার ভবিষ্যৎ । একটা গভীর আত্মবিশ্বতি তাহার সকল দুঃখতাপ ব্যথা-বেদনা যেন বস্তার জলে ভাসাইয়া দিল । তাহার অস্তরের কোন গোপন অন্তরাল হইতে এক বিশ্বজনীন পরার্থপরতা অকস্মাৎ মুক্ত হইয়৷ সেই ব্যাপ্ত উদার বিশাল ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে ছড়াইরা পড়িতে চাহিল। ক্ষণেকের জন্ত তাহার অন্তরাত্মা যেন কোন মহাজাগরণের উদ্দেশে সকল দেশকাল অতিক্রম করিয়া ব্যাকুল হইয়া ছুটিয়া বাহির झहेण । অকস্মাৎ পশ্চিমে মেঘ দেখা দিল । বাতাস ক্রমে জোরে বহিতে আরম্ভ করিল। কপহাস্তরিত যোধিতের মত পশ্চিমের মেঘখও দেখিতে দেখিতে আকাশময় ছড়াহয়৷ পড়িল। তারপর মেঘের সহিত মেঘের সংঘর্ষ, বিদ্যুতের চমক ! মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সারা বিশ্ব বেন এক নিষ্ঠুর সংগ্রামক্ষেত্রে রূপান্তরিত হইয়া গেল। সেই অনন্ত জাকাশ, মহান নীরবতা, নিৰ্ব্বিকার মুপ্তি চক্ষের নিমিৰে একটা গাঢ় षषनिकीब्र जांव्हग्न इहेब्रा श्रृंष्ट्रिण । প্রকাশ যখন বাড়ী ফিরিল তখন রাত্রি এগারটা বাজিয়া গেছে। পল্লীটি স্বপ্ত-নিঝুম। মাঝে মাঝে গ্যাসের লালবাতি কোনু কদৰ্য্য কৃষ্ণ দৈত্যপুরীর প্রহরীর মত দপ, দপ, করিয়া জলিতেছিল। ঝি ঘুমাইয় পড়িয়াছিল। অনেক ডাকাডাকি, কড়ানাড়ার পর সে আসিয়া দরজা খুলিয়া দিল। বলিল,—এত রাত্রে ফিরূছ, বাৰু। দেখত, কতক্ষণ হেথা বসে আছি। সাড়া পাইয়া জো আলিয়া পিছনে দাড়াইয়াছিল ঝির অম্বুযোগের সমর্থন করিয়াই যেন সে ক্ষুদ্ধ স্বরে বার ছই ডাফিয়া উঠিল। পা দিয়া কুকুরটাকে ঠেলিয়া দিয়া প্রকাশ উপরে উঠিয়া জাগিল ।