পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাড়ী জালির দরজার কাছে দাড়াইল, জিনিষপত্রের জন্ত আসিল একটা ঘোড়ার গাড়ী। কস্তা বধু সকলে কর্তাকে প্রণাম করিল, গৃহিণীয় মুখখান একেবারে গভীর হইয়া গেল। বিপিন গৃহিণীকে প্রণাম করিয়া, অমিয়া, প্রতিভাকে প্রণাম করিতে গেল। অমিয়া জড়সড় হইয়া দাড়াইয়া রছিল, প্রতিভা একেবারে পলায়ন করিল। তড়িৎ এবং খুকী একেবারে হাউ হাউ করিয়া কার জুড়িয়া দিল। কৃষ্ণার এই বিদায়পর্কে উপস্থিত থাকিবার বিষ্ণু মাত্রও ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বাধ্য হইয়াই সেও সকলের মধ্যে আসিয়া দাড়াইয়াছিল, তাহা ন হইলে অত্যন্তই খারাপ দেখাইবে। বিপিন দূর হইতে শুধু একটা নমস্কার করিল, কথা বলিবার চেষ্টাও করিল না। কর্তা বোধ হয় শেষ পর্য্যস্ত তাহাকে লক্ষ্যই করেন নাই, কারণ তাহাকে কোনো রকম বিদায় সম্ভাষণ না করিয়াই তিনি গাড়ীতে উঠিয়া পড়িলেন। গাড়ীটা চোখের আড়াল হইয়া গেল। সকলে চোখ মুছিতে মুছিতে উপরে উঠিতে আরম্ভ করিল। খুকী এবং তড়িতের কান্না তখনও থামে নাই, প্রতিভা, অমিয়ারও চোখ সজলই ছিল। কৃষ্ণার মনটা অত্যন্তই অবসর হইয়া পড়িয়াছিল, সে তাড়াতাড়ি নিজের ঘরে চলিয়া গেল। বিপিনকে সে ভালবাসিতে পারে নাই, কিন্তু এই যুবকটি যে এবাড়ীর কতখানি ছিল, তাহা সে যাইবামাত্রই বোঝা গেল। এখানকার হাস্তালাপ, নির্দোষ আমোদ-প্রমোদ সব কিছুর উৎসই যেন ছিল বিপিন। নবীন সারাদিন বাহিরে ঘুরিতেই ভালবাসিত, বাড়ীর সঙ্গে খাওয়া এবং শোওয়ার বেশী তাহার কিছু সম্পর্ক ছিল না। কাজেই সে যে বিপিনের স্থান পুর্ণ করিবে, এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না। বাড়ীটা যেন অনেকখানি অন্ধকার এবং গম্ভীর হইয়া উঠিল। সকলে ८करण निब्रथभङ जां★न जांशन कांछ कब्रिग्न शाईtठ লাগিল । কয়েকদিমের মধ্যেই ককার প্রাণ হাস্কাইয়া উঠিল। এখান হইতে পালাইতে পারিলে সে যেন ধাচে। সমস্ত AeeAAAS t২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড দিন একটা ধারণ অবসান পাথরের মত তাহার यप्नद्र खेviब्र क्रांनिब्र थांकिछ। ८कांप्न किङ्कप्ठ ठांशंब्र মন লাগিত না, কিছুর দিকে তাহার তাকাইতে ইচ্ছা করিত না । ষন্ত্রের মত কোনোমতে সে কাজ করিত, কিন্তু পিঞ্জরে বদ্ধ , বিছঙ্গিনীর মত তাহার মনটা কেবলি এই কারাগারের লৌহ-শলাকায় মাথা কুটিয়া মরিত । এতদিন পর্যান্ত নিজের নিঃসঙ্গ জীবনের দুঃখ সে ভাল করিয়া অনুভবই করে নাই। দুইটি মানুষ তাহার জীবনে প্রবেশ করিয়া তাহায় এতদিনকার এই নিশ্চিস্ততার অবসান করিয়া দিয়া গেল। একজন তাহাকে ভালবাসিল, আর একজনকে সে ভালবাসিল । প্রেমের দূত আসিল, চলিয়াও গেল। পিছনে রাখিয়া গেল কেবল একটা নিদারণ শূন্ততা। কৃষ্ণার মনে হইতে লাগিল সমস্ত বিশ্ব যেন হঠাৎ কোন পৈশাচিক মন্ত্রে একেবারে ফাঁকা হইয়া গিয়াছে। বিরাট অন্ধকার গহবরের মত, মহাকায় দানবের করাল মুখবাদানের মত তাহার মূৰ্ত্তি। তাছার ভিতর ধরিবার ছুইবার কোথাও কিছু নাই। কেবল থাকিয়৷ থাকিয়া উপহাসের অট্টহাদি শোনা যায় । তাহার আরাম-বিরামের আয়োজনের অভাব ছিল না, ইহা তাহাকে আরো যেন পীড়া দিত। কি করিবে সে অবসর লইয়া ? নিজের মনের মুখোমুখি হইয়া দাড়াইলেই তাহার অস্থিরতা বাড়িয়া উঠিত। ভাবিবার অবকাশ না পাইলেই সে থাকিত ভাল। কয়েদীর মত সমস্ত দিনরাত যদি কেহ তাহাকে খাটাইয়া মারিত, তাহা হইলে সে একরকম বাচিয় যাইত। দিন কয়েক পরে প্রতিভা একদিন জিজ্ঞাসা করিল, “কৃষ্ণাদি, আপনার শরীর কি খারাপ যাচ্ছে ?” কৃষ্ণ তখন বইখাতা লইয়া তাহাজের পড়াইতে বসিবার জোগাড় করিতেছিল। বলিল, “না ত। ८कनं ?” - প্রতিভা খলিল, “জাপনার চেহারাটা বড় খারাপ