পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । ठिउन्न cक्षिप्तः । इ१॥ बांक्ष मां ििनद्रां श्रीरॆण ; পার্থিব ঐশ্বৰ্য্যের ভাণ্ডার আজ তাহার কাছে উন্মুক্ত হইল। সুবীর হইল আজি মাতৃহীন বংশপরিচয়হীন পথের ভিখারী। সুবীর বলিল, “এখন তবে আমি আদি। এদের বলে আপনি যাওয়ার সব ঠিক করুন। কাল সকালেই আমি আস্ব। আপনার কাছে খবর পেলেই আমি জাহাজে বার্থ রেজিষ্টার করতে যাব। মায়ের শরীর বড় খারাপ, উদ্বেগ জিনিষটা তার বড় ক্ষতি করে। আপনি শীগগির গিয়ে পড়তে পারলে ভাল।” স্থবীর উঠিয় দাড়াইল। কৃষ্ণাকে একটা নমস্কার করিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল। সে তখনও হতবুদ্ধির মত বসির, একটা প্রতিনমস্কার করিতেও তাহার হাত উঠিল না । সুবীরের পারের শব্দ যখন মিলাইয়া গেল, তখন সে উঠিয়, টলিতে টলিতে নিজের ঘরে আসিয়া ঢুকিল । তাহার যেন ভাবিবারও সাধ্য ছিল না, বিছানার উপর বালিশে মুখ গুজিয়া সে নিজীবের মত পড়ির রহিল। ( రిరి ) সুবীর এবারও সেই পাঞ্জাবী হো েলে আসিয়৷ উঠিয়াছিল । কুষ্ণার কাছে বিদায় লইয়। সে সোজ। সেইখানেই ফিরির আসিল । কৃষ্ণাকে সব কথা খুলিয়া বলিতে পারিয়া তাহার মন হইতে যেন একটা পাষাণ ভার নামিয়া গেল। যাকৃ, যতই কঠোর হোক, নিজের কৰ্ত্তব্য সে করিতে ক্রট করে নাই। এখন কলিকাতা পর্যস্ত ভানুমতীর মেয়েকে লইয়া গিয়া পৌছাইয়া দিতে পারিলেই তাহার ছুটী। তাহার পর নিজের পথ দেখা ভিন্ন তাহার खञांब्र अछ कांछ १iकेिtरु नीं । কৃষ্ণার মুখ তাহার মনের মধ্যে বড়ই বিপ্লব বাধাইয়া তুলিয়াছিল । কি অপূৰ্ব্ব সুন্দর । বুদ্ধির প্রখরতার কেমন দাগু ! ইহাকে যে বিধাও রাণী হইবার জন্তই স্বষ্টি করিয়াছিলেন, তাহা তাহাকে দেখিলে আর কাহারও সন্দেহ থাকে না । তাহাকে নিজের হাতে রাণীর কিরীট পরাইবে বলিয়া সুবীর সাধ করিয়াছিল, কিন্তু ভাগ্য তাহার ും ബാ ৮২৩ عمر همینی میبایی میباعیامه

  • ^^*

হাত হইতে সে ভার কাড়িয়া লইল। যাক, আসিয়া যায় না, কৃষ্ণার অদুষ্ট্রে মুখ ছিল, সে তাহ পাইল। মুবীরের কোনো স্থান যদি নাই-ই থাকে এই মুনারীর জীবননাট্যের ভিতর, তাহাতে দুঃখ করিবার অধিকার তাহার কোথায় ? কিন্তু বাহিরের ধনসম্পদ আজ তাহাকে যেমন করিয়া ত্যাগ করিল, ভিতরেও যে তেমনি একটা রিক্ততার সম্ভাবনা ঘনাইরা আসিতেছে, তাহা সুবীর না ভাবিয়া থাকিতে পারিল না। ইহার পর কৃষ্ণাকে আর নিজের প্রিয়তমা বলিয়া ভাবিবীর অধিকারও কি তাহার থাকিবে ? সে অল্প দিনের মধ্যেই হয়ত অন্ত কোন ভাগ্যবান পুরুষকে পতিত্বে বরণ করিবে। তখন তাহার চিন্তা করাও হইবে পাপ। কিন্তু হার, যুক্তি যাহা বোঝে, হৃদর তাহা বুঝিতে চায় কই ? হউক সে পথের ভিক্ষুক, হউক কৃষ্ণ অপরের স্ত্রী, সুবীরের সাধ্য নাই তাহার মুখ নিজের অন্তর হইতে নিৰ্বাধিত করিতে পারে। যে নিভৃত লোকে সে কৃষ্ণাকে দেবীর আসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে, তাহার জীবনাস্ত পর্য্যন্ত সে সেখানেই বিরাজ করিবে। বিকাল বেলাটা যে কেমন করিয়া কাটাইবে, তাহাই সে ভাবিয়া পাইতেছিল না। অথচ এই জনাকীর্ণ হোটেলের ঘরে বসিয়া থাকাও একান্ত কষ্টকর। অগত্যা সে চ খাইয়া বাহির হইয়া পড়িল। ফুটপাথে নামিয়া একবার রিকৃশ চড়িবে না হঁাটিয়া যাইবে তাহা মনে মনে স্থির করিল। তাহার পর সোজা চলিতে আরম্ভ করিল। ঘুরিতে ঘুরিতে সে যে কোথা হইতে কোথায় আসিয়া পড়িল, তাহাৰ ঠিকানা নাই। সমস্ত পথ সে কি যে দেখিল তাহা কেহ জিজ্ঞাসা করিলে সে কিছুই বলিতে পারিত না। যখন রাস্তায় রাস্তায় দুধারের দোকানে বাতি জলিয়া উঠিল, তখন একথান গাড়ী ডাকিয়া সে তাহার সাহায্যে হোটেলে ফিরিয়া আসিল । . পরদিন ভারবতর্ষের ডাক যাইবার দিন। ভানুমতীকে একটা চিঠি লিখিষে কি না মুবীর ভাবিয়া ঠিক করিতে বসিল । অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া সে কাগজ কলম রাখিয়া দিল। পৌছিয়া টেলিগ্রাম ত সে করিয়াছে, কাজেই ভানুমতী বেশী উদ্বিগ্ন হইবেন না । একেবারে কৃষ্ণাকে লইয়া উপস্থিত হইলেই হইবে । খাওয়া-দাওয়া করিয়া সে শুইয়া পড়িল।