পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* "לצל পর তাহারা ইংরেজীতে ষে দীর্ঘ বিবৃতি দিয়াছেন, নীচে তাহার সংক্ষিপ্ত কিছু তাৎপৰ্য্য দেওয়া হইল । বিভিন্ন জেলার যে-সকল নেতা ও কৰ্ম্মীদের দয়। ও আন্তরিক সৌজন্যের জন্য আমরা পূৰ্ব্ব ও উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করিতে সমর্থ হইয়াছি, আমাদের সফর শেষ হইবার পর আমরা সৰ্ব্বপ্রথম র্তাহাদিগকেই আস্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। র্যাহারা বাঙ্গলার হিন্দুসংহতি আন্দোলনের সহিত সংশ্লিষ্ট, আমরা তাহাদিগকে সানন্দে জানাষ্টতেছি যে, আমাদের আবেদন আশাতীত ভাবে জনসাধারণের ব্যাপক ও আন্তরিক সমর্থন লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছে। খুলনা, বরিশাল, চাদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সেরপুর ও পাবনা ইত্যাদি যে-সকল স্থানে আমরা গিয়াছি সেই সকল স্থানেই আমরা জনসাধারণের আস্তরিক সহানুভূতিপুর্ণ সমর্থন লাভ করিয়াtছ । জনসাধারণের মধ্যে কোন প্রকার সম্প্রদায়গত সঙ্কীর্ণ মনোভাবের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করা আমাদের উদেখা ছিল না এবং আমরা হিন্দুদের জন্য কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধার দাবী উত্থাপন ও করি নাই । আমরা কেবল এই বিষয়টির উপরই বিশেষ জোর দিয়াছি যে, একমাত্র স্বাঞ্জাতিকতা রক্ষাকল্পেই বাঙ্গলার হিন্দুদিগকে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া বৰ্ত্তমানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক; ও সংস্কৃতিগত আক্রমণ তক্টতে তাহাদের ন্যায্য অধিকার বৃক্ষ করিবার জন্য যে কোন প্রকার কার্ষ্যকর উপায় অবলম্বন করিতে হইবে । আমরা ঐ সকল স্থানে কেবল মাত্র বিভিন্ন জনসভায়ই বক্তৃত। প্রদান করি নাই, অধিকন্তু সৰ্ব্বদাই বিভিন্ন দলের সহিত ঘরোআ আলোচনা করিয়াছি । ববিশাল জেলার হিন্দু সম্মেলন ও মহিলা সম্মেলন মহাসমা রোহে স্বসম্পন্ন হইয়াছে । ঐ দুইটি সম্মেলনে বরিশাল জেলার বিভিন্ন গ্রাম হইতে আগত বহু প্রতিনিধি বাঙ্গলার হিন্দুদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কিত আলোচনায় ধোগ দিয়াছিলেন । বিশেষ করিয়া অমুন্নত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণই এই সম্পর্কে সবিশেষ উৎসাহ প্রদর্শন করিয়াছিলেন । বরিশালে এবং কুমিল্লার সামান্য কয়েক জন বিপথগামী মুসলমান আমাদের বিরোধিতা করিয়াছিলেন বলিয়! আমাদের আন্দোলন আরও অধিক প্রবল ও বেগবান হইয়াছে। সিরাজগঞ্জে এবং নোয়াখালীতে আমাদের সফর নিষিদ্ধ হয় । আমর ই তার তীব্র নিন্দ করিতেছি। যদি বাঙ্গলার কোন অংশে হিন্দুআন্দোলন আবশ্যক হইয় থাকে, তবে তাহ ঐ সকল অঞ্চলেই । যাহা তউক, আমরা স্থানীয় নেতৃবর্গের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সে সকল অঞ্চলের অবস্থার কথা জ্ঞাত হঠয়াছি । নোয়াখালী এবং সিরাজগঞ্চে যে অবস্থা বিদ্যমান. অবিলম্বে সে সম্পর্কে তদন্ত করিবার জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা কর্তব্য । হিন্দু সমাজের মধ্যে যে অসাম্য রঙ্গিয়াছে, তাহার মূলাচ্ছেদ না হইলে হিন্দুসংহতি আন্দোলন ফলপ্রদ হইবে না। বিভিন্ন প্রবাসী ృNలిg\ు স্থানের তথাকথিত তপসিলভুক্ত সম্প্রদায়ের নেতৃবর্গের সংস্পর্শে আসিয়া তাহদের মতামত জ্ঞাত হইতে আমরা বিশেষ চেষ্টা করিয়াছি। এই সমস্ত বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়াছে । আনন্দের সহিত আমরা বলিতেছি যে, বিভিন্ন স্থানে এই হিন্দুসংহতি আন্দোলন বিশেষ ফলপ্রস্থ হইয়াছে। চাদপুরের প্রসিদ্ধ গৌর-নিতাইয়ের মন্দির এবং সেরপুরে রঘুনাথজিউর মন্দির হিন্দুসমাজের সমুদয় শ্রেণীর জন্য উন্মুক্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে । নেতৃদ্বয় শেষে বলিতেছেন :– আমাদের বিবৃতির উপসংহারে বলিতে ইচ্ছা করি, যে, বর্তমান সৰ্ব্বজাতিক সংকটের বিষয় মনে রাখিলে ক্ষুদ্র সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন বা স্থানীয় সমস্তাসমূহের উপর যে অযথা বা অনাবশ্বকে জোব দেওয়া উচিত নষ্ঠে তাঙ্ক আমরা জানি । আমরা অস্তরে পূর্ণ বিশ্বাস করি—বিশেষতঃ আমাদের সম্প্রতি-সমাপ্ত ভ্রমণের পর, যে, আমাদের সমস্যাটি ক্ষুদ্র নহে । আমরা যখন বঙ্গের হিন্দুদিগকে সংঙ্গত হইতে এবং তাঙ্গাদের বৈধ অধিকারসমূহের জন্য সংগ্রাম করিতে ও তৎসমুদয় বৃক্ষ করিতে আহবান করিতেছি, তখন আমাদের দায়িত্বের পূর্ণ বোধ সহকারে তাহ। করিতেছি, এবং আমাদের স্বদেশবাসীদিগকে এরূপ একটি পরিস্থিতি ও সমস্যার সম্মুখীন হইতে ও তাতার সমাধান করিতে বলিতেfছ যাহার অভিজ্ঞত। বঙ্গের কfচৎ ঘটে । হিন্দুদিগের সংহতির নিমিত্ত বৈধ প্রচেষ্ট বন্ধ করিতে বা তাহার সঙ্কোচনার্থ কর্তৃপক্ষের পক্ষ হইতে কোন চেষ্ট হওয়া উচিত নহে ।” নোয়াখালিতে হিন্দুদের অবস্থা আমরা সম্প্রতি নোয়াপলির এক জন প্রতিষ্ঠাবান ংগ্রেস-কমীর নিকট হইতে মোয়াখালির হিন্দুদের অবস্থা সম্বন্ধে ইংরেজীতে লিখিত একটি বিবুতি, তথাকার এক জন ব্যবস্থাপক সভার মুসলমান সদস্যের হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেয-উত্তেজক ও ভয়প্রদর্শক একাধিক বক্তৃতার রিপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্র পাইয়াছি । লেখক স্বয়ং আমাদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আরও অনেক কথা জানাইয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন যে, তিনি কলিকাতার প্রধান প্রধান কাগজের সম্পাদকদিগকে এবং কোন কোন কংগ্রেস-নেতাকে এই সকল কাগজপত্র দিয়াছেন । বিষয়টি মহাত্মা গান্ধীরও গোচর করিয়াছেন। যদি সমুদয় কাগজ গান্ধীজী দেখেন, তাহা হইলে তিনি কি বলেন ও করিবেন, জানিতে ইচ্ছা হয় । ব্যবস্থাপক সভার জনৈক মুসলমান সদস্যের বক্তৃতার যে নমুনা দেওয়া হইয়াছে, তাহ প্রবাসীতে ছাপিবার যোগ্য নহে। এরূপ বক্তৃতার কথা জেলার ও ডিবিজনের