পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ एंगैश्च। $ Yoo প্রথম যেদিন সে সত্যই তাড়া খাইল, খাইল সে কহিল-খাওনই আইজ কপালে নাই। খিদায় আমার কাছেই । স্বায় পেরান । সেই দিনই গিয়া পৌছিয়াছি। অনেক দিন পরে গিয়াছি, ভাই-বোনেরা অনেক বেলা পৰ্য্যন্ত বসিয়া গল্পকোলাহল করিয়াছি, আমাদের নাওয়া-খাওয়া সারা হইতে বেলা প্রায় দেড়টা বাজিয়াছে। সৰুলের শেষে খাইতে বসিয়াছিলেন মা, আর নিভ । তাহার সকালে কলেজ ছিল, তাড়াতাড়ি আধসিদ্ধ ডাল-ভাত দুটি মুখে গুজিয়া সে কলেজে ছুটিয়াছে, কলেজ হইতে তখনই মাত্র ফিরিয়া খাইতে বসিয়াছে । খাওয়া অৰ্দ্ধেক হইয়াছে এমন সময় হরিচরণ জাসিয়া হাজির হইল। উঠানেল কোণে পা ছড়াইয়া বসিয়া কহিল—আমারে দুগগা ভাত দিবেন ? মা শুনিয়া কহিলেন—সব্বনাশ, ভাত যা আছিল তো আমরা লইয়। বইছি। ওরে অ্যাহোন কি দি । নিভা কহিল—ওরে কইয়া দে, রাত্তিরে আইয়ু যেন খায় । আমি নাই । হরিচরণ কহিল-মোড়েও নাই ? আমি কহিলাম-না। দুইড বাজে, অ্যাহোন কি ভাত থাকে । আর তোরেও কইছি খাবি যেদিন, আগে আইয়া কইস, হেয়া তুই আবি না। যা, রাত্তিরে আইস । হরিচরণ কহিল--আয়ুচ্ছা । আমি কহিলাম—অ্যাহোন যা । হরিচরণ কহিল—যাই । চলিয়া কিন্তু সে গেল না । সেইখানে প। ছড়াইয়া বসিয়া তাহার সেই একটানা বাধা স্বরে কাদিতে লাগিল— इं उँ रुँ खै । খানিক পরে নিভা খাওয়া ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল। তার পর মাও উঠিলেন। ভাতের থালা অৰ্দ্ধভুক্ত ফেলিয়া ईि অঁাচাইয়া আসিলেন । আমি শুইয়াছিলাম। নিভ আচাইয়া ঘরে আসিল, নিজের মনেই কঠিল—ধ্যেৎ । আমি কহিলাম--কি হইল ? 8 سحس-8 হরিচরণকে কহিলাম—এই, ভাত তে] আমি কছিলাম—মানা করে কেডা খাইতে ? সে কহিল—শোন না ? ঐ বিলে বইয়া কান্দলে খাইতে পারে ? বাহিরে হরিচরণ তখনও সমানে স্বর টানিয়া চলিয়াছে । আমি উঠিয়া গেলাম। তাহাকে কহিলাম—এই, তোরে না কইলাম যাইতে ? সে কহিল—হ, হেয়া তো কইছেন । কহিলাম—কইছেন তয় বইয়া রইছেন কিয় ? মাইনষে খাওনের সময় দুয়ারধারে বইয়া কান্দবি, কি তোর লক্ষ্যে কেও খাইবে লইবে না ? সে কহিল-খাইবে না ক্যান । আমি কি হেইয়া কইছি । অসহ । ধমক দিয়া কহিলাম—আবার আহলাদিয়া আহ্নাদিয়া কথা কয়, শূয়ার! ওঠ ! বাইরা ! মা কহিলেন—এই, ও ছ্যাম্রারে বকো ক্যান । ওর দোষ কি ? আমি কহিলাম—দোষ কিছু না। উড়লি ? নিভা কহিল—এই দাদা, তোর কিছু কইথে হইবে না। বাপু, তোমার ভেচুকিতে পিত্ত ঠাণ্ড । মা কহিলেন—শোন, আমাগো খাওয়া তো হইলই যে ভাতগুন পাতে রইছে ওরে দি, খাউক । নিভা কহিল—দুং, পাতের ভাত মাইনষেরে দে ক্যামনে । মা কহিলেন—পাতের ছারা পামু কই । আর ওর আর পাতের—না থাইয়া মরে, আমার পাতের ভাত খাইলে কি ওর জাইত যাইবে ? হরিচরণ তখনও বসিয়াই আছে । নিভা কহিল-আগে জিগাইয়া লও। মা কহিলেন–কিরে, খাবি পাতের ভাত ? দিমু ? হরিচরণ কহিল—খামু। আমি কহিলাম—খবরদার, ও ভাত দিতে পারব না। এই দ্যাখ, তুই ওঠ, নাইলে তোর কপালে দুঃখ আছে । না |