পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཙི་སིང་ག་པ 3, ༧ অগ্রহায়ণ &t গিয়াছেন, কখন ফিরিবেন ঠিক নাই। বিমল একাই চেষ্ট সে করিল না, মুখে একটু মৃদ্ধ হাসি ফুটাইয়া নীরবে নন্দী মহাশয়ের বাড়ীর দিকে অগ্রসর হইল । বসিয়া রহিল । নন্দী মহাশয় গড়গড়ার নলে চক্ষু বুজিয়া টান দিতে দিতে বলিলেন-জীবে দয়াটাই হ’ল গিয়ে পরম —আস্বন আস্থন ডাক্তারবাবু! ধৰ্ম্ম, সব শিক্ষার মূল কথা। ননী মহাশয় ঝুঁকিয়া নমস্কার করিয়া বিমলকে অভ্যর্থনা করিলেন । বিমল উপবেশন করিয়া বলিল—রমেনবাৰুর স্ত্রী ভাল আছেন ? —আজ্ঞে হঁ্যা, আর ফোন গোলমাল হয় নি, বেশ ভাল আছে । ইহার পরই বিমল মনে নে প্রত্যাশা করিতেছিল যে নন্দী মহাশয় তাহার চিকিৎসা-নৈপুণ্য সম্বন্ধে কিছু বলিবেন । কিন্তু তিনি সে সম্বন্ধে কিছুই বলিলেন না । খানিকক্ষণ নীরবতার পর সহাস্যমুখে প্রশ্ন করিলেন—চ আনতে বলব, না সরবত ? —চা-ই আনতে বলুন । চায়ের ফরমাণ দিয়া নন্দী মহাশয় বলিলেন—এই নিদারুণ গ্রীষ্মে কি করে যে আপনার চা থান তাই আমি ভাবি । আমার রমেনেরও ঐ, সকাল-বিকেল চা চাই— চ-পানাস্তে বিমল আসল কথাটা খুলিয়া বলিল । সমস্ত আস্কোপাস্ত শুনিয়া নন্দী মহাশয় যেন আকাশ হইতে পড়িলেন । —তাই নাকি ? এই রকম অবস্থা হাসপাতালের ? —একটুও বাড়িয়ে বলছি না আমি । কিছুকাল নীরব থাকিয়া উদ্দীপ্ত কণ্ঠে ননী মহাশয় বলিলেন–জাপনার আগে বে ডাক্তারটি ছিলেন অত্যস্ত চগুলি লোক ছিলেন তিনি মশাই, শুনতাম ঘরে বসে ব’সে ব্যাঙ-খরগোস চিরতেন, জ্যাস্ত ধরে ধরে চিরতেন— এদিকে হাসপাতাল একেবাবে দেখতেন না, তিনিই ডুবিয়ে গছেন হাসপাতালটাকে সম্পূর্ণরূপে— বিমল বলিল—কিন্তু তিনি বিদ্বান লোক ছিলেন । —যে বিক্ষেতে জীবে দয়া করার প্রবৃত্তি লোপ পায় তমন বিম্বে শেখার প্রয়োজনটা কি তাই আমাকে বুঝিয়ে বলুন ! বিমল বুঝিল, নদী মহাশয়কে বুঝানো অসম্ভব। সে বিমল বলিল—তা ত ঠিকই ! হাসপাতালের গরিব রুগীগুলোকে দেখলে কষ্ট হয়, বিশেষত তাদের যখন একটু ভাল ওষুধ দিতে পারি না, তখন সত্যি বলছি বড় খারাপ লাগে ! আপনার দয়ায় হাসপাতালের ইনডোর রুগীগুলো তৰু খেতে পায়— নন্দী মহাশয় চক্ষু বুজিয়া তামাক টানিতে লাগিলেন। বিমল বলিতে লাগিল—কিন্তু ওষুধটা না থাকলে চিকিৎসা করব কি দিয়ে, এমন কি কুইনিন পৰ্য্যস্ত নেই— ননী মহাশয় চক্ষু খুলিয়া বলিলেন-ওটা তো শুনেছি ভয়ানক পয়জন, ওটা যত কম থায় লোকে ততই ভাল ! ঐ কুইনিন খেয়ে খেয়েই দেশের লোকগুলো আরও জরাজীর্ণ হয়ে গেল মশাই স্বাক্ট বলুন আপনারা! বিমল নন্দী মহাশয়ের ধাত বুঝিয়াছিল, কিছু বলিল नाः । কানে-কলম-গোজা প্রৌঢ় এক ব্যক্তি একটি খেরোর খাতা হস্তে প্রবেশ করিলেন এবং সবিনয়ে বলিলেন— চরণ ঘোষের খাজনাটার স্বদটা কি— নন্দী মহাশয় অধীর ভাবে উত্তর দিলেন—কত বার বলব এক কথা ! বাপ-পিতামহের বিষয়টা কি উড়িয়ে দিতে বল আমাকে দানছত্তর ক’রে ! কানে-কলম-গোজ ব্যক্তি নীরবে নিষ্ক্রান্ত হইয়া গেলেন। যেন কিছুই হয় নাই, নন্দী মহাশয় পুনরায় প্রশাস্ত ভাবে তামাক টানিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে বিমলের দিকে চাহিয়। বলিলেন—বেশ, মাথায় রইল আপনার কথাটা, এবারকার মিটিঙে দেখব চেষ্টা ক’রে যদি কিছু করতে পারি। আসল কথা কি জানেন, ট্যাক্স আদায় হয় না। আমাদের যে ঐ ট্যাক্স-কলেকটারটি আছে অতি হারামজাদা ব্যক্তি সে । লোকের কাছ থেকে দু-চার পয়সা ঘুস-টুস খায়—একটি পয়সা আদায় করে না। অথচ ওর গায়ে হাত দেবার জো নেই—বদিবাবুর মকেলের দালাল উনি ।