পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఖave অগ্রহায়ণ बिटूनfीक ---- سیہپیچھےـمـیـہ ------------- مست۔ -۔۔۔۔ م - ب —so --ईT । বিমল বলিল—আপনাদের জওবাবুর সঙ্গে আলাপ —অমরবাবুর সঙ্গে তোমার আলাপ আছে তো ? করতে হবে এক দিন । —এক সঙ্গে পড়তাম আমরা । —সেদিকে জগু ঠিক আছে, আলাপে মোহিত ক’রে —মথুরবাবুর সঙ্গে বেণী মাখামাথি করলে নদীমশায় আবার না চটে যান । বিমল বলিল—ত ব’লে তে অভদ্রতা করতে পারি না । তাছাড়া আমি ডাক্তার, কোন বিশেষ দলে আমার -নাম না থাকাই ভাল। আমি— —নমস্কার ডাক্তারবাৰু, গ উটি কে, ও পরেশবাবু, ..নমস্কার নমস্কার । একচক্ষু লণ্ঠনটি তুলিয়া স্টেশন-মাস্টার মহাশয় পথরোধ করিয়া দাড়াইলেন। বৰ্ত্ত লাকার ভদ্রলোক, মোটা অথচ বেটে। বিমলকে বলিলেন—আর এক বার একটু কষ্ট করতে হবে ডাক্তারবাৰু, আমার মেজো ছেলেটার গা-ময় আমবাত না কি যেন বেরিয়েছে, যদি একটু দেখতেন। আমাদের রেলের ডাক্তার জগুবাবুর যা ব্যবসা-সারা দেখা ! একটি রোগ সারতে তো দেখলাম না জগুবাবুর হাতে এ পর্য্যস্ত। ভাগ্যে আপনি এসে পড়েছিলেন তাই আমার মেয়ের পেটের অসুখটা সারল । —চলুন ! পরেশ-দা বলিলেন—তুমি রুগী দেখে এস তাহলে । আজ কালীবাড়ী থেকে একটু প্রসাদ দিয়ে গেছল, হরেন শুনছি রোধেছে বেশ করে, তুমি আমার ওখানেই খেয়ো আজ রাত্তিরে। যোগেনকে মান ক’রে দিয়েছি রাধতে । বিমল হাসিয়া বলিল— আচ্ছা । পরেশ-দা চলিয়া গেলেন । বিমল স্টেশন-মাস্টারের অম্বুবতী হইল। এ অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বিমলের কয়েকটি ব্যাগারি রুগী জুটিয়াছিল। স্টেশন-মাস্টার মহাশয় তো প্রাযুই ডাকিতেছেন । যাইতে যাইতে সমস্ত পথটাই স্টেশন-মাস্টার মহাশয় জগুবাবুর নিন্দা করিতে করিতে গেলেন । “মিথ্যে সার্টিফিকেট লিখে লিখে চিকিৎসার ব্যাপার প্রায় ভুলেই গেছে আমাদের জগমোহন । সাটিফিকেট নইলেও আবার আমাদের চলে না, জগুকে চটানও মুক্ষিল । ইদিকে ভয়ানক কান-পাতলা এলোক আবার ।” দেবে একেবারে। কেউ এক বার গেলেই হ’ল চা রে জলখাবার রে, জগমোহন মিত্তিরের সেদিকে কোন ত্রুটিটি ধরবার উপায় নেই । জগু-প্রসঙ্গ পরিবর্তনমানসে বিমল বলিল—আপনি কত দিন থেকে আছেন এখানে ? —তা হয়ে গেল বছর-দুই মশাই, এসে থেকে ভুগছি মশায় ছেলেপিলে নিয়ে, এটা ওঠে তে ওটা পড়ে, আর আমার পরিবার তো রোগের একটি ডিপো বললেই হয়, কি ষে ওর হয় নি তাই আমি ভাবি | একটু থামিয়া পুনরায় বলিলেন—কেবল ক্যানুসারটাই হ’তে বাকী আছে বোধ হয়, আর সব হয়ে গেছে ! জগু তো টি. বি. ব’লে ডিক্লেয়ারই করেছে, ভূধরবাবু বললেন, ফ্যারিনজাইটিস, জগদীশবাবু বললেন টনসিল খারাপ, আপনি যদি দেখতে চান দেখুন—হয়রান হয়ে উঠেছি মশায়, পারি না আর । স্টেশন-মাস্টারের বাড়ী হইতে বাহির হইয়া বিমল ভাপিল বদিশাবুর খবরটা একবার লওয়া যাক। সতীশবাবুর ভাইয়ের চিকিৎসা সে করিতেছে বটে, কিন্তু এখনও এক পয়সা পায় নাই । তাহারাও দেন নাই, বিমলও চাহে নাই। এ সম্বন্ধে কি করা উচিত সে ঠিক করিতে পারিতেছিল না। বদিবাবু যাহা বলেন তাহাই করা যাইবে । থিয়েটারের কথাটাও বদিবাবুর কানে তোলা উচিত। মথুরবাবুদের সঙ্গে হৃদ্যতার জন্য নয়, হাসপাতালের ঔষধের জন্যই সে এ কার্য্য করিতে রাজী হইয়াছে, তাহ বদিবাবুকে অস্তুতঃ জানাইয়া রাখা ভাল । জায়গাটায় যেরূপ দলাদলি তাহাতে বুঝিয়া-মুঝিয়া চলাই ভাল। বুঝিয়া চলিলে এ স্থানে বেশ রোজগার হইবে, বেশ বড়লোকের জায়গা । ভূধরবাবুর কথাগুলো তাহার কানে তখনও বাজিতেছিল, এখনও তিনটে বাকি, আর পারি না মশাই ! এই অল্প কয়েক দিনে সে-ও তো এদিকে-ওদিকে দুই-চাবিটা রুগী পাইয়াছে এবং সকলেই বিনাপয়সার নয়। হাসপাতালটাকে দাড় করাইমা ফেলিতে পারিলে তাহার পশায় জমাইতে দেরি হইবে না। ঔষধ কিছু অবিলম্বে চাই। বদিবাবুর বাড়ী গিয়া বিমল শুনিল ষে বদিবাবু এখানে নাই । ংগ্রেসের কাজে বাহিরে গিয়াছেন, তিন-চার দিন পরে ফিরিবেন। ক্রমশঃ