পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ আবার নূতন জিনিষ খুজিয়া আনিয়া তাহার স্থান পূর্ণ করে । ফিঙে পার্থী দক্ষিণ-আফ্রিকায় এক প্রকার বয়নকারী পার্থী দেখিতে পাওয়া যায়, ইহাদের শত শত পার্থী একত্র হইয় এক ডালে খড়কুট ও কাদামাটির সাহায্যে বাসা বাধে। পরিবার-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাসার আয়তনও বৃদ্ধি পাইতে থাকে। বর্ষায় জলে ভিজিয়া যখন বাসা ভারী হইয়া উঠে তখন ডাল যত শক্তই হউক না কেন অধিকাংশ স্থলেই তাহা ভাঙিয়া পড়ে। দল ছাড়িয়া সহজে নূতন বাসগৃহ পত্তন করিতে চাহে না বলিয়াই উহাদের এরূপ দুৰ্গতি ঘটে। বয়নকারী ফিঞ্চ নামে এক জাতীয় ক্ষুদ্রকায় পার্থীও এক স্থানে অনেকে মিলিয়া বাসা বাধিয়া থাকে। শক্ত সরু ডালের চতুদিক ঘিরিয়া লম্বা পত্রের সুহ্ম সুহ্ম তস্তুর সাহায্যে বিভিন্ন আকৃতির গোলাকার বাসা নিৰ্ম্মাণ করে । অধিক দিন নিরুপদ্রবে বাস করিবার জন্য স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে মিলিয়া অক্লাস্ত পরিশ্রমে বাসাটিকে বেশ মজবুত করিয়া গড়িয়া তোলে। বয়নকারী পার্থীদের মধ্যে আমাদের দেশের টুনটুনী পাখীর বাসা-নিৰ্মাণ-কৌশল অতীব কৌতূহলোদীপক। সেলাই’ কথাটায় যাহা বুঝায়, পার্থীরা ঠোটের সাহায্যে ー。 "১৩৪৬ সেরূপ কিছু করিতে পারে, ইহা সত্যই অদ্ভুত মনে হয়। টুনটুনী পার্থী কিন্তু সত্যসত্যই এরূপ ভাবে সেলাই করিয়া বাস নিৰ্ম্মাণ করে । ইহার বাস করিবার জন্য বাস। বাধে না । বাচ্চ উড়িতে শিখিলেই বাসা ছাড়িয়া চলিয়া যায়। টুনটুনী ক্ষুদ্রকায় পাখী, প্রায় দুই ইঞ্চি আড়াই ইঞ্চির বেশী বড় হয় না । ঠোঁট স্থচের মত স্থম্মাগ্র । ছোট ছোট ঝোপঝাড়ের আড়ালে খুব চওড়া কোন একটা সবুজ পত্ৰ নিৰ্ব্বাচন করিয়া বাসা বুনিতে মুরু করে । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটা পাতা মুড়িয়াই বাসা বাধে ; তেমন অসুবিধা বুঝিলে সময় সময় দুই-তিনটা পাতারও সাহায্য লইয়ু থাকে। গাছের যে-পাতাটির শীঘ্র ঝরিয়া পড়িবার সম্ভাবনা নাই এবং বাহির হইতে সহজে নজরে পড়িবে না, এরূপ একটি পাতা ঠিক করিয়া প্রথমতঃ সরু ঠোটের সাহায্যে তাহার দুই ধারে এবং মধ্যস্থলে

  • 曇礙 ফিঞ্চ নামক এক জাতীয় পার্থীর বাসা

এলোমেলো ভাবে কতকগুলি ছিদ্র করিয়া দেয়। ছিদ্র হইয়া গেলে বাহির হয় স্থত খুজিতে। অনেক ঘুরিয়া ফিরিয়া অনেক সময়েই বড় মাকড়সার জালের শক্ত স্থতা