পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ বলিদ্বীপের নৃত্যকলা ঃ কবিয়ার নৃভ্য २80 বালিং গ্রাম্য শিল্পীর তৈনি মূৰ্ত্তি সমাদরের জিনিষ হয়ে দাড়িয়েছে, বালির একটি শ্রেষ্ঠ নাচ *ি iাবে দেশে-বিদেশে থ্যাতি লাভ করেছে । কিন্তু এ-পর্য্যন্ত এসেই তার থেমে যায় নি, এর পরেও গামেলান সঙ্গীতে এ-দেশে যত প্রকার নৃত্য বা মৃত্যাভিনয় আছে, সেই পরিবর্রনের চেষ্টা চলতে লাগল । সব মৃত্যের সময় গামেলান য’ ব্যবহারের একটা নিয়ম দেখা যায় । কোন নাচে মাত্র চারটি যন্ত্ৰ বাজে । নাচে থাকে কেবল ঢোল, করতাল, বঁাশ ও রবাব । কোন নাচে ঢোল বাজাবার নিয়ম ডান হাতে কাঠি নিয়ে । এই ভাবে বিভিন্ন নৃত্যে বিভিন্ন রকমে গামেলান যন্ত্র ব্যবহার করে । বিভিন্ন নাচে যন্ত্রসমষ্টির সঙ্গীতের বিভিন্ন নাম তার দিয়েছে। যেমন লেগং নাচের গামেলান যন্ত্রের সংখ্যা প্রায় কুড়িটির উপর ; এই যন্ত্রগুলির বাজনার নাম এরা দিল “পেলেগেনাম” ৷ অনেক সময় দেখা গেছে যে-বাজনার সঙ্গে মিলিয়ে নাচ কোন তৈরি হচ্ছে সে-নাচের নামও একই থাকে । তার একটি বড় উদাহরণ হ’ল “গঙ্গ কবিয়ার” বাজনা। আধুনিক বালি-নৃত্য গামেলান সঙ্গীতের একান্ত অ&গত, সঙ্গীত যে-ভাবে চলবে তাকেও সে-ভাবে চলতে “গঞ্জ কবিয়ার” বাজনার প্রচলন হ’ল “গঙ্গ গেডে” নামে এক প্রাচীন পদ্ধতির বাজনা থেকে । শোনা যায়, রচয়িত। সেই বাজনার নানা অংশকে বেছে বেছে “কবিয়ার” বাজনার জন্তে সাজিয়ে নিয়েছিলেন, এবং রচয়িতা নিজের বুদ্ধির দ্বারাও অনেক কিছু তাতে যোগ ক’রে দিয়েছিলেন । এই বাজনায় সবচেয়ে বেশী সংখ্যক যন্ত্র এর ব্যবহার করে, সব মিলিয়ে প্রায় পচিশটি । সে-দেশের আর কোন নৃত্যে বা মৃত্যাভিনয়ে এত বাজনা ব্যবহার করতে দেখা যায় না । এই “গঙ্গ কবিয়ার” বাজনার সঙ্গে লেগং নাচের টেকনিককে মেলানোর চেষ্ট হয়েছিল । সেই নাচের নাম "কবিয়ার"ই রাখল । এই নাচ ছোট দুটি মেয়েকে করতে দেখেছি, উত্তরবালির এক বিখ্যাত গামেলান-দলে, এবং পূৰ্ব্ব-বালির ३ु ! এক গ্রামে | এ নাচে ৪ অল্পবয়স্ক বালকবালিকারাই উপযুক্ত বলে তারা মনে করে । এ নাচের প্রধান উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে এর সঙ্গে কোন গল্পের প্রয়োজন নাচিয়েরা অতুভব গামেলান যন্ত্র “রেয়”